ঔপনিবেশিকতায় আবেশিত মুসলিমের ডিসকোর্স

এডিটর’স নোট: ড. হাতেম বাযিয়ান ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে তুরস্কভিত্তিক অনলাইন ম্যাগাজিন তার্কি এজেন্ডায় A Discourse on the Colonized Muslim Subject শিরোনামে একটি আর্টিকেল লিখেন। সিএসসিএস-এর পাঠকদের জন্য এটি অনুবাদ করেছেন নাজমুস সাকিব নির্ঝর।

*****

গত দুইশ বছরের ইতিহাস, উপনিবেশের গোলামীর সাথে জড়িয়ে যাওয়া এবং পরবর্তীতে উপনিবেশ-উত্তর জাতিরাষ্ট্রের উদ্ভব– এসব কিছু গোনায় না ধরলে আজকের দিনে মুসলিম বিশ্বের ঘটনাপ্রবাহ আমাদের কাছে গোলমেলে ও অসঙ্গতিপূর্ণ মনে হবে। প্রায়ই মুসলিমদেরকে তাদের অতীত ভুলে যাবার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং উপনিবেশ নিয়ে অভিযোগ করা ও একে বর্তমান ঘটনা প্রবাহের ব্যাপারে অজুহাত হিসাবে দাঁড় করানো বন্ধ করতে উপদেশ দেয়া হয়। বলা হয়, উপনিবেশ শেষ হয়ে গেছে এবং মুসলিম বিশ্ব গত ৪০-৬০ বছর ধরে স্বাধীন। এর ভিত্তিতে উপসংহার টানা হয়, ঔপনিবেশিকতা ও পশ্চিমকে ঢালাওভাবে দোষারোপ করা বাদ দিয়ে মুসলিমদের উচিত নিজেদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নেওয়া।

এইসব কথা যদি মেনে নেওয়া হয়, তাহলে ওরিয়েন্টালিস্টদের বয়ানে যেমনটা বলা হয়, ‘মুসলিম বিশ্ব জন্মগতভাবেই নিকৃষ্টতর এবং এরা নিজেদের গুরুতর সমস্যার সমাধানে অক্ষম’, তা আর দোষের কী? এই থিসিসের মূল অনুসিদ্ধান্ত হলো, ঔপনিবেশিক সৈন্য প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিন বাদে (এইসব কথা যখন বলা হতো তখনও ইরাক এবং আফগানিস্তানে আগ্রাসন শুরু হয়নি) বাকি মুসলিম জাহান স্বাধীনতা লাভের ফলে সেসব দেশে উপনিবেশ শেষ হয়ে গেছে। এইসব অনুসিদ্ধান্ত উপনিবেশ ও এর নানান স্তরের প্রভাব বিস্তার প্রক্রিয়া সম্পর্কে খুবই শিশুসুলভ ও মূর্খতাপূর্ণ চিন্তাভাবনা ছাড়া কিছুই নয়। প্রকৃতপক্ষে উপনিবেশ কাঠামো অত্যন্ত জটিল একটি প্রক্রিয়া যার সামরিক আগ্রাসনের দিকটি পুরো বিষয়টির একটি ছোট্ট অংশ মাত্র; যার উদ্দেশ্যই হলো মাটিতে বরকন্দাজ বাহিনী রেখেই হোক আর না রেখেই হোক, ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রের জনগণের উপর পূর্ণ কর্তৃত্ব এবং প্রভাব বজায় রাখা।

মানুষের শরীরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে তার চলাচলকে সীমিত করে দেয়া হচ্ছে অতি প্রাথমিক ধরনের নিয়ন্ত্রণ কৌশল। অথচ সবচাইতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কাজ করে মানুষের অবচেতন মনের ওপর; যার মাধ্যমে মন ও মানুষের সত্তা এবং দুনিয়ায় এই সত্তার কী কর্ম তা বোঝার বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতার উপর পুরো দখল ও কর্তৃত্ব নেওয়ার চেষ্টা সে জারি রাখে। এইসব কৌশল দুনিয়াদারির বুঝ ও নানামুখী সমস্যার বুদ্ধিবৃত্তিক সমাধানকল্প আঁকার মানসিক ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করে, এর ওপর কর্তৃত্ব আরোপ করে। ঔপনিবেশিত জনগোষ্ঠীর মনন কী পরিমাণে ঔপনিবেশিক কাঠামোগুলোর দাসত্ব করে, তার ভিত্তিতে একটা উপনিবেশ কতটা সফল তা বিচার করা যায়। উপনিবেশিতদের বুদ্ধিবৃত্তিক কাজগুলো কীভাবে ঔপনিবেশিক প্রভুদের চিন্তাকে বর্ণে বর্ণে ছত্রে ছত্রে অনুকরণ করে, নিজের মধ্যে ধারণ করে এবং প্রচার করে– তার মধ্য দিয়ে এটা প্রকটভাবে ধরা পড়ে। যদিও উপনিবেশ আর বাহ্যিকভাবে হাজির নাও থাকে।

ঔপনিবেশিকতাকে জায়েজ করার একটা সহজ উপায় অবলম্বন করা হয়। তাহলো, উপনিবেশের খপ্পড়ে পড়ার কারণ হিসাবে এই যুক্তি খাঁড়া করা যে, তারা মনীবদের চাইতে নিকৃষ্ট এবং এই দুর্বলতার কারণেই তারা যে কারো কর্তৃত্বের খপ্পড়ে পড়তে পারে। এই ধরনের চিন্তাধারা সবসময় দুর্বলের ওপরেই দায় চাপায় এবং উপনিবেশকে ডারউইনবাদের ‘survival of the fittest’ তত্ত্ব দিয়ে ব্যাখ্যা করে। এই যুক্তিধারা শুধু বাহ্যিক ও দৃষ্টিগোচর ফলাফলের দিকেই দৃষ্টি দেয় এবং পুরো ঔপনিবেশিক প্রজেক্টের দিকে খেয়াল করে না। অথচ কোন সুতার টানে ঔপনিবেশিক প্রজেক্টটা প্রজন্মের পর প্রজন্ম টিকে রইল ও সফল হল সেদিকে খেয়াল করা হয় না। এমনকি রাষ্ট্রগুলো যখন বৈষয়িক উন্নতির পথে হাঁটে তখনও সেটা ঔপনিবেশিক ডিসকোর্সের কাঠামোতেই বন্দি থেকে যায়। কারণ কোনটা সাফল্য আর কোনটা সাফল্য নয়, সেটা মাপার মানদণ্ডটাও ঔপনিবেশিক পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা হয়েছে।

চলমান ঔপনিবেশিকতাকে যুক্তিগ্রাহ্য করার দ্বিতীয় আরেকটা প্রচেষ্টা আছে। সেটা এ রকম: ঔপনিবেশিক দাসত্ব এবং হাল আমলের সব সমস্যার কারণ হচ্ছে, ইসলাম আসলে ততোটা আধুনিক হয়ে উঠতে পারেনি। এই যুক্তির প্রচারক দল অনবরত ইসলামের একটা জ্ঞানতাত্ত্বিক সংস্কারের জন্য ঔপনিবেশিক প্রভুসুলভ আবদার করতেই থাকে। এই সংস্কারের মাধ্যমে তারা ইসলামকে একটা তথাকথিত ‘আলোকায়িত’ আধুনিকতার ছাঁচে সাজাতে চায়, যার মাপকাঠি নির্ধারিত হয়েছে ঔপনিবেশিক এবং ইউরোপকেন্দ্রিক মানসিকতা দিয়ে। আধুনিক বা রিফর্মিস্ট হওয়া মাত্রই আপনি স্বীকার করে নিচ্ছেন যে, ইসলাম আসলেই জন্মগতভাবে ঔপনিবেশিক ডিসকোর্সের মানদন্ডে নিকৃষ্টতর এবং তারপরই কেবল আপনি ঔপনিবেশিক সংস্কারের মাঠে খেলতে নামতে পারেন, যেখানে ইসলামের তরফে মনিবদের সকল প্রশ্নের গ্রহণযোগ্য জবাব দেয়া সম্ভব হবে। অথচ এ প্রশ্নগুলো নিয়ে না মুসলিমদের কোনো মাথা ব্যাথা ছিল, আর না এগুলো মুসলিমদের কোনো কাজে লাগবে। এসব প্রশ্ন আসলে মুসলিমরা কখনো নিজস্বভাবে গ্রহণই করেনি।

নিঃসন্দেহে ঔপনিবেশিক জ্ঞানতত্ত্ব বর্ণবাদী এবং একটা সুনির্দিষ্ট ইউরোপীয় ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা থেকে এর জন্ম। পরবর্তীতে এই কাঠামোকে একটা আন্তর্জাতিক রূপ দেওয়া হয়েছে। ভাবটা এমন, দুনিয়াবাসীর উচিত তাদের এঁকে দেয়া মানদণ্ডে তাদের সমকক্ষ হওয়ার চেষ্টা করা। দক্ষিণ গোলার্ধের শিক্ষা ও উন্নয়ন বা সভ্য করার প্রজেক্টগুলার মধ্যে এই কাঠামো যে ক্রিয়াশীল, তা স্পষ্টভাবে লক্ষ করা যায়। সাধারণ মানুষ যাতে করে নিজেদের সম্পর্কে এক ধরনের হীনম্মন্যতায় ভোগে এবং বারবার সেই আত্ম-অবমাননার অবতারণা যেন হয়– এজন্যই এসব প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে। এবং এইসব প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হয়েছে ময়দানে সৈন্য মোতায়েন রেখে বা না রেখে।

এই ঔপনিবেশিক প্রজেক্ট যাদেরকে পুরাপুরি মানুষই মনে করে না তাদেরকে যে তারা পুরাপুরি সভ্য মানুষে উন্নীত করতে চায় তাও কিন্তু নয়। বরং এই প্রজেক্ট ইউরোপকেন্দ্রিক বর্ণবাদী বুদ্ধিবৃত্তিক ও ধর্মীয় অবকাঠামোকে অক্ষত রাখতে চায় এবং একই সাথে তথাকথিত উন্নততর সভ্যতাকে পূজার আরাধ্য স্বর্গরূপে হাজির করে। এই উন্নততর সভ্যতার পূজা ঔপনিবেশিত মনে এতো শক্তিশালীভাবে প্রোথিত এবং এতো সর্বব্যাপী এর প্রভাব যে উপনিবেশিত মন ঔপনিবেশিককালে গড়ে ওঠা জ্ঞানতত্ত্বের কেবল প্রতিফলন করতে পারে মাত্র। উপনিবেশকে যতই আগের ঘটনা ভাবা হোক না কেন, আসলে তা বহুমাত্রিক ও পরিবর্তিত চেহারায় হাজির রয়েছে। অতীত নিজেকে পুনরুৎপাদন করে বর্তমানে হাজির করা জারি রাখলে সে আর অতীত থাকে কীভাবে? আমরা আসলে উপনিবেশের মধ্যেই আছি, ভুলভাবে একটা ঔপনিবেশিক অতীতের হাইপোথিসিস দাঁড় করাচ্ছি।

আজকের দিনে একজন সাধারণ মুসলিম হচ্ছেন একটি ঔপনিবেশিক মানসিক ছকের বাই-প্রোডাক্ট। এরফলে একজন মুসলিম নিজেকে আবিস্কার করছেন একটা আরোপিত ঔপনিবেশিক ছকে আঁকা ছবির মধ্যে। আজকে ‘মুসলিম কাকে বলে’ তা জিজ্ঞাসা করা একটা কঠিন প্রশ্ন; কেননা আত্মপরিচয় এবং একটা আদর্শ অতীত ট্র্যাডিশন খুঁজে পাওয়ার পথটাই বয়ে গেছে একটা ঔপনিবেশিক ভূগোলের মধ্য দিয়ে, যে বারংবার একটা দূরন্ত গতিতে হীনম্মণ্য কর্মধারা নিরন্তর অনুসরণ করে যাচ্ছে।

ইসলামের মধ্যে ‘ট্র্যাডিশন’, ‘সংস্কার’, ‘ব্যাখ্যা’, ‘নারী-পুরুষের কাজের ক্ষেত্র ও সম্পর্ক’, ‘রাজনীতি’, ‘রাষ্ট্র’, ‘অর্থনীতি’, ‘সন্ত্রাস’ এবং ‘অধিকার’ এসব কিছুই ঔপনিবেশিকতার জন্ম দেওয়া বিতর্ক। এগুলো কোনো মুসলিম উদ্যোগের পরিচায়ক নয়। বরং এগুলো ঔপনিবেশিক ছকে ডিজাইন করা জ্ঞানতত্ত্বের খোদাই করা ছাঁচ মাত্র। ক্রমাগত ইসলাম ও রাজনৈতিক ইসলাম, সুফীবাদ ও অসুফীবাদ, আধুনিকতা ও রক্ষণশীলতা এবং চরমপন্থা ও উদারপন্থার নামে যে বিভেদরেখা টানা হয় এর সবই ঔপনিবেশিক ছাঁচে খোদাই করা একটা বাইনারি জ্ঞানতত্ত্বের ফল। ইউরোপ যেভাবে ধর্মকে অনুভব করে এবং দেখে সে অনুযায়ী এই জ্ঞানতত্ত্ব তৈরি হয়েছে, পরবর্তীতে তাকে একটা বৈশ্বিক রূপ দেয়ার অংশ হিসেবে ঔপনিবেশিত ‘অর্ধমানব’ দাসদের এবং বহুদূরের উপনিবেশগুলোকে সেটা অনুসরণে বাধ্য করা হচ্ছে। ঔপনিবেশিক ফ্রেমওয়ার্ক অনুসারে ইসলাম পূর্ণ মানবিক নয়, বরং তা অসভ্যতার পরিচায়ক; ইসলাম কখনোই নিজস্ব, স্বকীয়, অর্থপূর্ণ, সঙ্গতিপূর্ণ এবং পূর্ণতাপ্রাপ্ত জ্ঞানতত্ত্ব হতে পারে না।

মানসিক উপনিবেশকরণ প্রজেক্ট উপনিবেশিতের মনে একটা অনুকরণপ্রিয়তার জন্ম দেয়, যা পরবর্তীতে উপনিবেশিতদের মনে এক ধরনের অসহায়ত্ব তৈরি করে। যার ফলে ঔপনিবেশিক প্রভু বা তার প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে (কুশিক্ষিত) বরকন্দাজদের সাহায্য ছাড়া মুক্তি অর্জন সম্ভব নয় বলে একটা ধারণার উদ্ভ ঘটে। আমাদের জীবনের সকল দিকে, সকল পটভূমিতে, সকল যুক্তিগ্রাহ্যতার বয়ানে সাম্রাজ্যবাদী হিউম্যানিটারিয়ান প্রজেক্ট বা নতুন এনজিও ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স– এ সব কিছুর মধ্য দিয়েই তাদের নাক গলানো জারি আছে; যাতে করে মোলায়েম নব্য-উদার সভ্যতার প্রকল্পগুলোকে সামনে এগিয়ে নেয়া যায়।

ঔপনিবেশিক প্রভুদের বয়ান অনেকটা এ রকম: “এই যে উপনিবেশিত গোলাম! তুমি উন্নত হতে পারো না, এটা তোমার দোষ এবং তুমি এখনও প্রস্তুত নও। আমি, ঔপনিবেশিক মনিব, উত্তর গোলার্ধে সম্পদ পাচার করার জন্য তোমার প্রগতি আটাকনোর ঠেকা আমার পরে যায়নি। আজকের ঔপনিবেশিক মনিব/কনসালটেন্ট/উপদেষ্টা বলে যে তুমি আমার মত হয়ে ওঠার চেষ্টা করতে পার কেবলমাত্র যদি তোমার পশ্চাতপদ ‘ট্র্যাডিশন’ থেকে মুক্ত হও, আমি যা অর্জন করেছি সেটা অনুকরণ করো। কেননা উন্নত হওয়ার এবং তোমার অন্ধকারাচ্ছন্ন হীনম্মন্যতা থেকে মুক্তির এছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ খোলা নাই।” এই ঔপনিবেশিক প্রজেক্ট চালু আছে উপনিবেশসমূহের রাজনীতিতে, অর্থনীতিতে, সামাজিক সম্পর্কে, মিডিয়া এবং ধর্মীয় ডিসকোর্সে।

‘আমি নিকৃষ্টতর এজন্য আমি পারি না’ এটা ঔপনিবেশিত মননে একটা যুতসই স্থায়ী যুক্তি হিসাবে প্রোথিত হয়। এর ফলে যে কোনো উদ্যোগ বা জীবনের স্বার্থকতা খুঁজে পাওয়ার জন্যও তখন সে ঔপনিবেশিক প্রভুর সাহায্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে যায়। এমনকি এই উপনিবেশিত ব্যক্তি ভাবে, সে নিজের চিন্তা নিজে করছে। অথচ সে মূলত তার মনের গভীরে গেঁড়ে বসানো ঔপনিবেশিক জ্ঞান এর পুনরুৎপাদন ছাড়া আসলে কিছুই করছে না। যদিও সে ভাবছে যে, সে নিজের ভালো নিজে বোঝার যোগ্য হয়েছে। এইভাবে আসলে ঔপনিবেশিতরা একটা উপনিবেশ প্রক্রিয়া চক্রের শিকার হচ্ছে– একবার সরাসরি উপনিবেশের খপ্পড়ে পরার মাধ্যমে এবং দ্বিতীয়বার তার অবচেতন মনন উপনিবেশের খপ্পড়ে পরার মধ্য দিয়ে। এর ফলে সে নিজের সম্পর্কে একটা মিছামিছি কর্তৃত্ব ও পরিচয়ের ধাঁধাঁয় পড়ে থাকে।

তাহলে উপনিবেশ-উত্তর দুনিয়া আসলে উপনিবেশের দুনিয়াই বটে এবং ঔপনিবেশিক জ্ঞানতত্ত্ব দ্বারাই ‘স্বাধীনতা’ নিজের চেহারা লাভ করছে। এ থেকে তার মুক্তি নাই। মুসলিমদের অ-ঔপনিবেশিকরণ শুরু হবে মননকে উপনিবেশমুক্ত করার মাধ্যমে। এর উপায় হচ্ছে ঔপনিবেশিক, উপনিবেশ-উত্তর এবং ইউরোপকেন্দ্রিক জাতীয়তাবাদের কুশপুত্তুলিকাকে ধ্বংস করার মাধ্যমে। এরপর উপনিবেশমুক্ত মুসলিম বিশ্বের একটা ধারণা তৈরির মাধ্যমে এর ভবিষ্যতের পথ রচিত হবে।

এ ধরনের আরো লেখা