ডিফিটিং দ্যা ইভিল ‘এম’

মাস্টারবেশন একটা ট্যাবু। অ্যান্ড ফর গুড রিজন। ছেলেদের মাস্টারবেটিং প্রব্লেমের সলুশ্যন নিয়ে অনেক লেখালেখি থাকলেও মেয়েদের এই সমস্যা নিয়ে তেমন কথা হয় না। এটা তেমন অবাক করা কিছু না। আমরা মেয়েদের স্বভাবজাত লজ্জাশীলতার কারণে এসব ব্যাপারে আলোকপাত করি না, আর এটা পার্ফেক্টলি নর্মাল। লজ্জাশীলতায় ব্যাকও্যার্ডনেসের কিছুই নেই। তবে সমস্যা হয় তখন থেকে যখন আমরা সমস্যা স্বীকার করা বন্ধ করে দেই। আজকে আমি মাস্টারবেশন নামক নীল পাশবিকতাকে ট্যাকেল করার মতো দুইটা উপায় নিয়ে আলোচনা করব। অনেকগুলো বিষয় আপুদের নিকট একটু বিব্রতকর ঠেকতে পারে, একটু জড়তা কাজ করতে পারে। তবে সহীহ মুসলিমের একটি হাদীস থেকে আমরা  জানি, আনসার নারীদের লজ্জাশীলতা তাদের দ্বীনশিক্ষার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে না দাঁড়ানোর কারণে আমাদের মা আয়েশা (রা.) তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। তাহলে শুরু করা যাক।

শুরুতে বলেছিলাম মাস্টারবেশন ট্যাকল করার দুইটা উপায় নিয়ে কথা বলব। ট্র্যাডিশনালি, ইসলামিক কোনো সোর্স থেকে মাস্টারবেশন ছাড়ার উপায় হিসেবে কেবল বলা হয় ইবাদাত বাড়ানো, রোজা রাখা ইত্যাদি। আর নন-ইসলামিক সোর্সে তো এটাকে ইভেন কোনো সমস্যা হিসেবেই দেখা হয় না। এই দুই প্রান্তিকতার প্রেক্ষিতে ওয়াসাত বা মধ্যপন্থী হওয়ার উপায় কী? মধ্যপন্থী হওয়া যায় যখন এই বদঅভ্যাস ছাড়ার জন্য আমরা তাকওয়া ও রোজা রাখার পাশাপাশি আরো দুটো স্টেপ যোগ করি। স্টেপ দুটো হলো:

১. মাইন্ডফুল হওয়া
২. হারামকে হালাল দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা

বিশ্লেষণ আমি শুরু করব দুই নম্বর পয়েন্ট দিয়ে।

হারামকে হালাল দিয়ে প্রতিস্থাপন:

আল্লাহ তায়ালা তাঁর অশেষ করুণায় প্রত্যেক হারামেরই হালাল এবং উত্তম বিকল্পের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যখন মাস্টারবেশনের হালাল বিকল্পের কথা বলা হয় তখন এক কথায় সবাই বলবে বিয়ে! কিন্তু এই বিকল্পের বাস্তবায়ন দিনে দিনে কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে। যতদিন বিয়ের ব্যবস্থা না হয় ততদিন বোনেরা কী করবেন? ইনফ্যাক্ট অনেকের তো বিয়ের পরেও এই সমস্যা, সেই পরিস্থিতিতে কী করবেন? উত্তর দেয়ার আগে আমি একটা প্রশ্ন করি। আপনাদের যাদের এই সমস্যাটা আছে, কখনো কী খেয়াল করেছেন কখন আপনারা মোস্ট লাইকলি শয়তানের ফাঁদে পড়ে এই কাজটা করে ফেলেন? আমার মনে হয়, মাস্টারবেটাররা সাধারণত যখন অ্যাংশাস, ডিপ্রেসড বা মন খারাপ করে থাকেন তখন এই সমস্যায় বেশি ভোগেন। ওয়েস্টে ইনফ্যাক্ট অ্যাংজায়টি, ডিপ্রেশন বা ইনসমনিয়াতে যারা ভোগে তাদেরকে মাস্টারবেশন সাজেস্ট করা হয়। কেন?

অন্য যে কোনো যৌনক্রিয়ার মতো মাস্টারবেশনও অনেকগুলা হরমোন রিলিজের কারণ। এদের মধ্যে প্রাইমারি হচ্ছে ডোপামিন, অ্যান্ডোরফিন, অক্সিটোসিন হরমোন। মজার কথা হচ্ছে, হাইপোথ্যালামাস থেকে নিঃসৃত ডোপামিন (যেটা বোথ হরমোন এবং নিউরোট্রান্সমিটার) এবং পিটুইটারি গ্ল্যান্ড থেকে নিঃসৃত অ্যান্ডোরফিন ও অক্সিটোসিনকে সম্মিলিতভাবে হ্যাপি হরমোন বলে! সাথে অবশ্য সেরেটোনিনও আছে। তবে এটার কথা পরে বলছি। তো এই হ্যাপি হরমোনগুলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমাদের ব্রেইনের হ্যাপি ফিল করার জন্য রেসপন্সিবল, সুবহানাল্লাহ। কীভাবে?

ডোপামিন আমাদের ভেতর এক ধরনের আত্মতৃপ্তি জাগায়, একটা ভালোলাগা অনুভূত করায় এবং একমপ্লিশ বা রিওয়ার্ডেড ফিল করায়। অ্যান্ডোরফিন আমাদের পেইন রিলিভ করে, বডিতে রিলাক্সেশন নিয়ে আসে, মনকে হালকা অনুভূত করায়। অক্সিটোসিনকে আবার লাভ হরমোনও বলে। এটা আমাদের মনে ভালোবাসা/ভালোলাগা জাগায়, কানেক্টেড ফিল করায়। মাস্টারবেশনের ফলে এই হরমোনগুলো কম কষ্টে প্রচুর পরিমাণে রিলিজ হওয়ায় মন খারাপ হলে ব্রেইন (এবং শয়তান) বারবার ঐ কাজ করতে ইঙ্গিত দেয়। এখন মন খারাপ হওয়া, ডিপ্রেশনে পড়া তো স্বাভাবিক। তাহলে উপায়?

আমরা যখন এক্সারসাইজ করি তখন আমাদের বডিতে অনেক ধরনের হেলদি ক্যামিকাল রিয়েকশন ঘটে। এর মধ্যে অন্যতম হলো এন্ডোরফিন রিলিজ। আমাদের ব্রেইন যখন মনে করে আমাদের শরীরে ব্যাথা আছে, তখন পেইন রিলিভিং এই হরমোনটা রিলিজ করে। এক্সারসাইজের সময় আমরা বডিকে কন্ট্রোল্ড পেইনে ফেলে ব্রেইনের কাছ থেকে কৌশলে এন্ডোরফিন রিলিজ করায়ে নেই। শুধু তাই নয়, এক্সারসাইজের পর যে আমাদের অনেক ভালো লাগে, এর কারণ হলো মানুষের বডিকে বানানোই হয়েছে হার্ড ওয়ার্কের উপযোগী করে। যদিও এই আধুনিক যুগে আমাদের আর তা করা হয় না। ফলে এক্সারসাইজের মাধ্যমে আমরা আমাদের বডিকে ফাইনালি কাজে লাগানোতে ব্রেইন আমাদেরকে রেওয়ার্ড দিতে চায়। ফলে সে ডোপামিন রিলিজ করে। এক্সারসাইজের ফলে বডিতে যে কোনো পজিটিভ চেঞ্জ দেখলেও আপনার ব্রেইন রেওয়ার্ডেড ফিল করবে এবং ডোপামিন রিলিজ করবে। একটা ভালো কাজ করলে, প্রশংসা পেলে, সাজুগুজু বা স্কিনকেয়ার করলে, অর্থাৎ আপনার পছন্দের এবং ভালো প্রায় যে কোনো কাজ করলেই ডোপামিন রিলিজ হবে। আপনি এক্ষেত্রে নিজেকে সবসময় এমন ফ্রেন্ডের সাথে রাখতে পারেন, যারা আপনার ভালো কাজে বাহবা দেবে, যারা আপনাকে সাপোর্ট দেবে। এতে শুধু ডোপামিনই নয়, অক্সিটোসিনও রিলিজ হবে। আপনার মাকে একটু জড়িয়ে ধরুন, বোনকে একটা চুমু খান, হেল্পিং হ্যান্ডকে একটু চা বানিয়ে দিন, বিল্লুটাকে একটু আদর করুন, এমনকি সাহাবীদের গল্প পড়ে একটু কাঁদুন! এই সবগুলো কাজে আপনার কাইন্ডনেস, আপনার ভালোবাসা প্রকাশের পাশাপাশি ব্রেইনেও অক্সিটোসিন তার ম্যাজিক দেখিয়ে যাচ্ছে!

সেরোটোনিন নামক আরেকটা হ্যাপি হরমোনের কথা বলেছিলাম না? এসব কাজে সেটার পরিমাণও বেড়ে যায়। প্রিবায়োটিক ও সুষম খাবার খেলেও সেরোটোনিন রিলিজ বাড়ে। সেরেটোনিন একটা মজার হরমোন। এটা বডিকে আশ্বস্ত অবস্থায় রাখে, সেফ ফিল করায়, স্টেবল ফিল করায়, হ্যাপি ফিল করায়। আর কী করে জানেন? সেক্স ড্রাইভ কমায়। ইউ নো, কোয়টাস বডির জন্য কিন্তু স্ট্রিক্টলি ব্রিডিং প্রসেস। বিভিন্ন স্টাডিতে দেখা গেছে, যৌনক্ষমতাসম্পন্ন যে কোনো প্রাণী স্টেবল পরিবেশে ঘর তৈরি করে, কলোনি তৈরি করে। কিন্তু ‘রিস্কি’ পরিবেশে সেক্সুয়াল এক্টিভিটিতে এঙ্গেইজড হয়। অড লাগছে শুনতে? জাস্ট বেয়ার উইথ মি। যখন স্টেবল পরিবেশে থাকে তখন মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীর প্রোডাক্টিভিটি বেড়ে যায়। আর যখন রিস্ক ফিল করে তখন ভেতর থেকে রিপ্রোডাকশনাল ইন্স্যটিংক্টে কইটাসে এংগেইজ করে। এ কারণেই রাতের বেলা, বৃষ্টির সময় এবং ‌‘লো-লিভিং কোয়ালিটি’ এলাকায় ইন্টারকোর্স বেশি হয়। আর এই পুরো ব্যাপারটাই ঘটে লো সেরেটোনিন এবং হাই সেরোটোনিন লেভেলের জন্য! লো সেরেটোনিন মানে ব্রেইনে কম সেফ ফিলিং ও বেশি সেক্স ড্রাইভ, হাই সেরেটোনিন মানে বেশি সেফ ফিলিং ও লো সেক্স ড্রাইভ।

এভাবে আপনি মাস্টারবেশনের বদলে হেলদি ও হালালভাবে নিজের ব্রেইনকে ম্যানিপুলেট করে হ্যাপি হরমোনের সিক্রেশন বাড়িয়ে নিজের বডির (এবং ব্রেইনের) জন্য অল্টারনেটিভ হ্যাপিনেসের ব্যবস্থা করতে পারেন। এতে বডি অ্যাডজাস্টেড হলে লংটার্ম বেনেফিট পাবেন। যা আপনাকে মাস্টারবেশনের হ্যাবিট থেকে সরিয়ে আনতে পারে। কারণ, ড্রাগ, মাস্টারবেশন ও অন্যান্য আনহেলদি পদ্ধতিতে হরমোন রিলিজ অনেক দ্রুত হয়, খুব কুইক রাশ দেয়। কিন্তু ক্রমেই বডি এই আনআর্ন্ড রিওয়ার্ডে অভ্যস্ত হয়ে পড়ায় এমন এক্টিভিটি কোনো আনন্দ দেয় না। অন্যদিকে, এক্সারসাইজ এবং অন্যান্য হেলদি উপায়ে হরমোনাল রিলিজ করলে তা একটা নির্দিষ্ট লিমিটে হওয়ায় বডির ব্যালেন্স ঠিক থাকে।

মাইন্ডফুলনেস:

মাইন্ডফুলনেস বা মননশীলতা— সাচ আ সিম্পল বাট হেভি ওয়ার্ড! আল্লাহ আমাদের ব্রেইনকে চিন্তাক্ষম করে তৈরি করেছেন, যেটা অন্যান্য প্রাণীদের সাথে আমাদের একটা বিগ ডিফ্রেন্স। তাই উপরের পয়েন্টে আমি মাস্টারবেশনের জন্য ব্রেইনের দায়ভার নিয়ে লিখলেও ডিসিশন আল্টিমেটলি আমাদের হাতে। মাইন্ডফুলনেস হচ্ছে আমাদের নিজের সম্পর্কে কনশাস থাকা। এটাকে আমরা কাজে লাগাতে পারি মাস্টারবেশনের বিরুদ্ধে। কীভাবে?

আমি নিশ্চিত যে মাস্টারবেশনের পর প্রত্যেক মুসলিমের কনশাসে খারাপ লাগে। লাগাটাই স্বাভাবিক, আমাদের ফিতরাতই এমন। আল্লাহর একটা সরাসরি নির্দেশ আমরা অমান্য করেছি। শয়তান চাইবে এই খারাপ লাগাটাকে ব্যবহার করে আল্লাহর কাছ থেকে আমাদেরকে আরো দূরে সরিয়ে আনতে। কিন্তু আমাদের তখন মাইন্ডফুল হতে হবে। আমাদের লাইফের উপর শয়তানের কোনো কন্ট্রোল নেই! এগেইন, আল্লাহ শয়তানকে আমাদের উপর ক্ষমতাসীন করেননি! তাই শয়তানকে কখনো জয়ী হতে দেয়া যাবে না। নিজের জীবনের উপর কন্ট্রোল নিজে নিন। মাঝেমাঝে স্লিপ করে ফেলেছেন? এখন অনেক এশামড ফিল হচ্ছে? গুড, এটা আল্লাহর রহমত। এই ফিলিংটা মনে রাখেন, অন্তস্থ করে রাখেন। এবার এক্সারসাইজ বা অন্যান্য হালাল কাজের মাধ্যমে হরমোন রিলিজ করার ফিলিংটা মনে করুন। দুটো অনুভূতি মিলিয়ে এখুন। একটা ফিলিং কেবল লজ্জা আর আল্লাহর অবাধ্যতার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। অথচ অন্য ফিলিংটা মনে করিয়ে দিচ্ছে আত্মতৃপ্তি ও সবার প্রশংসার কথা! মনে করিয়ে দিচ্ছে হালাল কাজ করার আনন্দের কথা! ব্রেইনকে এই ডিফ্রেন্স মুখস্ত করতে দিন। ব্রেইন নেগেটিভ ফিলিং থেকে আপনাকে প্রোটেক্ট করতে আর আগের ভুল করবে না, ইনশাআল্লাহ। তবে শয়তানের ফাঁদে পড়ে লজ্জাকে কিন্তু আল্লাহর সাথে দূরত্বের মাধ্যম করবেন না। হ্যাঁ, আপনি খারাপ কাজ করেছেন, কিন্তু আল্লাহ যে আল গাফফার, আল গাফুর!

মাইন্ডফুলনেসের আরো একটা ইউজ হিসেবে আপনি বডি নিয়ে কনশাস থাকতে পারেন। দেখুন, আমাদের বডি সবসময় সেম থাকে না। আগেও বলেছি বডির কাছে কোইটাস স্ট্রিক্টলি রিপ্রোডাক্টিভ। এ কারণে আমাদের মেয়েদের অভালুশন বা ডিম্বপাতের সময় সেক্স ড্রাইভ বেশি থাকে। এভাবে বডিকে জেনে আপনি প্রিপেয়ারড থাকতে পারেন, এবং বডির নিড অনুযায়ী এক্সারসাইজ (চাইলে মেন্সট্রুয়াল সাইকেলের সাথে এক্সারসাইজের সম্পর্ক নিয়ে আরেকটা লেখা লিখতে পারি) করতে পারেন।

আরেকটা জিনিস করা যায়, তা হলো আল্ট্রুইস্টিক হওয়া। পর্ন দেখার অভ্যাস থাকলে, একবার যেই মেয়েটা পর্নে ‘অ্যাক্ট’ করছে তার কথা ভাবুন। মোস্ট অফ দ্যা টাইমে এইসব মেয়েরা আন্ডারএইজ থাকে, বিপদগ্রস্ত থাকে অথবা ওর্স্ট, কিডন্যাপড থাকে! একটা মেয়ের বডি এভাবে অবজেক্টের মতো ট্রিট করা হচ্ছে, অন্য আরেকটা মেয়ে হয়ে আমরা কীভাবে তা দেখতে পারি! আমাদের বিবেক কি পোড়ে না? একটুও কি মাতৃত্ববোধ জেগে ওঠে না?

মাস্টারবেশন নিয়ে আপনি এভাবেও ভাবতে পারেন যে আপনার এই অ্যাক্টের কারণে আপনার পিতা-মাতারও গুনাহ হতে পারে। অথবা ভাবতে পারেন, আপনার ফিউচার হাজবেন্ড কি ডিজার্ভ করে এটা? অথবা ভাবতে পারেন আপনার বোন কিংবা ফিউচার কন্যা থেকে কি আপনি এই বদভ্যাস আশা করেন?

মাস্টারবেশন দিয়ে শয়তান আমাদের উপর জয়যুক্ত হতে চায়। কিন্তু আমরা আল্লাহর চুজেন। আল্লাহ আমাদের বাবা আদমকে ইবলিশ, এমনকি ফেরেশতা থেকেও শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের বাবা আদম (আ.) ভুল করেছেন। তাঁর চেয়ে আরো বেশি ভুল করাটাই আমাদের জন্য স্বাভাবিক। কিন্তু ভুল না করার চেষ্টা কি বন্ধ করা যাবে? তাকওয়া ও ঈমান বৃদ্ধি করে, সিয়াম পালন করে এবং এভাবে হালাল অল্টারনেটিভস ও মাইন্ডফুলনেসের সাহায্যে, ইনশাআল্লাহ, আমরা শয়তানের উপর জয়ী হবো। কারণ, আল্লাহ আমাদের সাহায্য করবেন। আশা করি লেখাটি থেকে উপকৃত হবেন।

নাদিয়া গাযী
নাদিয়া গাযী
জন্ম চাঁদপুরে, আর বেড়ে ওঠা টঙ্গীতে। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির অভ্যাস। নারীদের, বিশেষত মুসলিম নারীদের পুষ্টিকর ও সুস্থ জীবনযাপন এবং এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি লক্ষ্যে বেশ কিছু গবেষণাধর্মী কাজ করেছি। নারীদের শরীরচর্চা, খাদ্যাভ্যাস ও ত্বকের পরিচর্যা বিষয়ক কিছু লেখা এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ইসলামী অনুশাসন, বিজ্ঞান ও নৈতিক মূল্যবোধকে সমন্বয় করে পথচলা আমার উদ্দেশ্য। প্রিয় বিষয় হিউম্যান ফিজিওলজি। কাজ করতে চাই একটি সুষ্ঠু ও সুস্থ সমাজ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে নিউট্রিশন এ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অনার্স করছি৷ একইসাথে জড়িত আছি স্কুল ফর লাইফ, বুদ্ধির মুক্তিসহ বেশ কিছু সামাজিক আন্দোলনের সাথে।

সাম্প্রতিক

এ ধরনের আরো নিবন্ধ