আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণের ক্রাইটেরিয়া
গডের অস্তিত্বের ব্যপারটা আসলে বিয়ন্ড প্রুফ। কারণ, প্রুফ হইতেছে এমন একটা সিস্টেম যেখানে আমরা নিজেরা কিছু ক্রাইটেরিয়া প্রুভেবল অবজেক্টের উপর আরোপ করি। কিন্তু গডের এক্সিস্টেন্সের প্রুফ আর বিশ্বাস অন্যান্য প্রুফ ও বিশ্বাস থেকে আলাদা।
এইখানে এসে আমার মনে হয়, বিশ্বাস দুই প্রকার। একটা হচ্ছে গডে বিশ্বাস আর বাকিটা অন্যান্য সকল ধরনের বিশ্বাস।
আমি যদি বলি, এই বোতলটা হচ্ছে গড। এখন কেউ হয়ত বলবে যে এত ছোট জিনিস গড হয় কীভাবে। আবার কেউ বলবে, এটা তো ম্যানুফ্যাকচারড জিনিস, যা মেশিনের মধ্যে সৃষ্টি করা যায় তা আবার গড হয় কী করে।
আবার যদি বলি, সূর্য হচ্ছে গড। অতীতের একটা সময়ে অনেকেই হয়ত মেনে নিতেন সেটা; পূজাও হত। যেহেতু সেটা হিউম্যান এক্সপেরিয়েন্সের অতটা কাছাকাছি ছিল না। তো ইবরাহীম এসে সেটার উপর আরেকটি বিষয় আরোপ করে খারিজ করে দিলেন। বললেন, যা অস্ত যায় তা গড না।
এখানে দেখা যায়, গড হবার ক্রাইটেরিয়া মানুষই গডের উপর আরোপ করছে; কিন্তু সেটা আবার না-বাচক ক্রাইটেরিয়া।
তার মানে গডের অস্তিত্বগত প্রশ্নের আন্সারগুলা হয় “গড কী-কী বা কেমন-কেমন না” সেটা দিয়ে। অস্তিত্বের প্রশ্নে গড কেমন হবে সেটা কিন্তু কেউ বলে না।
পৃথিবীর ইতিহাসে অথবা ঈশ্বরের ধারণার ইতিহাসে এমন কিছুই বোধহয় নাই, যেখানে মানুষ চাক্ষুস অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে, অথবা জাগতিক ব্যাখ্যা করতে পারে এমন কিছুকে কোনোকালে মানুষ গড বলে স্বীকার করে নিয়েছে।
একদিকে সে প্রুভ করতে চায়, অপরদিকে প্রুভেবল কোনোকিছুকেই গড না মানার টেন্ডেসি তার মধ্যে প্রবল।
So God must be something beyond everything.
অবস্থা দেখে মনে হয়- যুক্তিবাদী মানুষের মানসিক প্রবণতা হচ্ছে গডের ব্যপারে এমন কিছু খোঁজা যার মত আর কিছুই নাই, অথচ তার আবার অস্তিত্বও আছে। লাইছা কামিছলিহি শাইয়া…
তো, তার মত যদি আর কিছু না থাকে তাহলে এরকম চূড়ান্ত পর্যায়ের ‘একক’ কোন কিছুর সংজ্ঞায়ন বা প্রুফ কিভাবে হতে পারে?
যুক্তিবাদী মানুষের গড কেন্দ্রিক বিশ্বাসের টেন্ডেন্সির সাথে মিলাতে গেলে দেখা যায়, বা গডকে যেভাবে তারা ভাবতে চায় তা হলঃ গড হচ্ছেন তিনি যিনি ছাড়া গড নাই। যার মত আর কিছু নাই। অর্থাৎ যার মত কিছু নাই তিনিই হচ্ছেন গড।
আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া
-ইলাহ হচ্ছেন তিনি যিনি ছাড়া ইলাহ নাই।
এইখানে ইসলামের শুরু…।