হায়েয চলাকালে নারীদের মসজিদে প্রবেশ, কোরআন পাঠ ও তাওয়াফ করা কি নিষিদ্ধ?

নারী-পুরুষ কারো জন্যই আল্লাহর ঘর কখনো ‘নিষিদ্ধ’ নয়— এই মতামতটি দিয়ে এ বিষয়ে কথা শুরু করতে চাই। যদিও ঋতুমতী নারীদের মসজিদে প্রবেশের ‘অনুমতি’ প্রদানের ব্যাপারে ফকীহগণের মাঝে মতভিন্নতা রয়েছে। শায়েখ ইউসুফ আল-কারযাভী এ প্রসঙ্গে একটি ফতোয়া দিয়েছেন, যেখানে তিনি এ সংক্রান্ত মতামতগুলোর পর্যালোচনা করেছেন। তিনি লিখেছেন:

“ঋতুমতী নারীরা মসজিদে অবস্থান করার বিষয়ে, অথবা সহবাসের পর নাপাক অবস্থায় নারী বা পুরুষ মসজিদে অবস্থান করতে পারবে কিনা, এ বিষয়ে ফকীহদের মাঝে অনেক মতপার্থক্য রয়েছে। যেমনটা আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,

يٰٓأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا لَا تَقْرَبُوا الصَّلٰوةَ وَأَنتُمْ سُكٰرٰى حَتّٰى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ وَلَا جُنُبًا إِلَّا عَابِرِى سَبِيلٍ حَتّٰى تَغْتَسِلُوا

‍“হে ঈমানদারগণ! তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাযের ধারেকাছেও যেও না, যতক্ষণ না যা বলো তা বুঝতে পারো এবং (দৈহিক) অপবিত্র অবস্থায়ও না, যতক্ষণ না গোসল করো।”

(সূরা নিসা ৪:৪৩)

হাম্বলী ফকীহদের মতে, এ ধরনের ব্যক্তি কেবল অযু করেই মসজিদে অবস্থান করতে পারবে। একটি হাদীসের উপর ভিত্তি করে তারা এই সিদ্ধান্তে আসেন। আতা ইবনে ইয়াসার থেকে সাঈদ ইবনে মানসুর ও আল-আসরাম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “আমি রাসূলুল্লাহর (সা) সাহাবীদের কাউকে কাউকে দেখেছি, তারা জানাবাত অবস্থায় কেবল অযু করেই মসজিদে অবস্থান করেছিলেন।”

অবশ্য অন্যান্য ফকীহগণের মতে, হায়েয বা নিফাস অবস্থায় কোনো নারী অযু করুক বা না করুক, মসজিদে অবস্থান করতে পারবে, যেহেতু এর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কোনো সহীহ হাদীস বর্ণিত হয়নি। অন্যদিকে, যে হাদীসে বলা হয়েছে, “আমি কোনো ঋতুমতী নারীকে বা গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তিকে মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দেই না”, সে হাদীসটি দুর্বল। যেহেতু এ বিষয়ে কোনো শক্ত দলীল নেই, তাই এ ক্ষেত্রে অনুমোদনের সাধারণ বিধানই প্রযোজ্য হবে।

ইমাম আহমদ, আল-মুজনী, আবু দাউদ, ইবনে আল-মুনজীর এবং ইবনে হাযম এই মত পোষণ করতেন। তারা সবাই আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত একটি হাদীসকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। রাসূল (সা) বলেছেন, ‘একজন মুসলিম কখনো অপবিত্র হতে পারে না।’ বুখারী, মুসলিম এবং অন্যান্য সংকলনে হাদীসটির উল্লেখ রয়েছে।

এর পাশাপাশি অমুসলিমদের সাথে মুসলিমদের একটা তুলনাও তাঁরা দিয়েছেন। একজন অমুসলিম যেহেতু পবিত্র বা অপবিত্র যে কোনো অবস্থায় মসজিদে প্রবেশের অনুমতি পায়, তাহলে একজন মুসলমানের জন্য এ ধরনের অনুমোদন আরো বেশি প্রযোজ্য।

আমি ব্যক্তিগতভাবে এই মতের পক্ষে। কেননা, এর পক্ষে রয়েছে পর্যাপ্ত দলীল। এটি সহজতা অনুসরণের মূলনীতিকে সমর্থন করে এবং মুসলমানদের, বিশেষত ঋতুমতী নারীদের কষ্টকর প্রতিবন্ধকতা দূর করে। গোসল ফরজ হওয়া পুরুষের চেয়ে ঋতুমতী নারীর মসজিদে প্রবেশাধিকার বেশি হওয়ার কথা। কারণ, একজন পুরুষ চাইলে যেখানে ইচ্ছা সেখানে ফরজ গোসল সেরে নিয়ে পবিত্র হয়ে যেতে পারে। কিন্তু রজঃস্রাবের বিষয়টি ভিন্ন। আল্লাহ তায়ালা এটি নারীদের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। কোনো নারী চাইলেই এটি এড়াতে পারে না বা নির্দিষ্ট সময়ের আগে পবিত্র হয়ে যেতে পারে না।

তদুপরি, ধর্মীয় শিক্ষা বা এ জাতীয় প্রয়োজনে নারীদের নিয়মিত মসজিদে যাওয়া দরকার। তাই তাদেরকে মসজিদে প্রবেশে বাধা দেওয়া উচিত নয়।”[1]

“আমি কোনো ঋতুমতী নারীকে বা গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তিকে মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দেই না” মর্মে যে হাদীসটি এখানে শায়েখ কারযাভী উল্লেখ করেছেন, সেটি দুর্বল নয়। এটি একটি সহীহ হাদীসের অংশবিশেষ, যা জাসরা বিনতে দিজাজার বর্ণনা সূত্রে আবু দাউদসহ অন্যরা বর্ণনা করেছেন। জাসরা বলেন,

“আমি আয়েশার (রা) কাছে থেকে শুনেছি যে তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা) আসলেন এবং দেখলেন যে তাঁর সাহাবীদের ঘরের দরজাগুলো মসজিদের দিকে ফেরানো। তিনি বললেন, ‘ঘরের দরজাগুলো মসজিদের দিক থেকে অন্যদিকে ফিরিয়ে দাও।’ এরপর নবী (সা) ঘরে প্রবেশ করলেন। তবে লোকেরা এ কথায় কোনো গা করেনি। তাদের আশা ছিলো, হয়তো রাসূল (সা) এ বিষয়ে একটু নমনীয় হবেন। তারপর রাসূল (সা) তাদের কাছে আবার আসলেন এবং বললেন, ‘এই দরজাগুলো মসজিদের দিক থেকে ফিরিয়ে নাও। আমি কোনো ঋতুমতী নারী ও (সহবাসের কারণে) অপবিত্র পুরুষকে মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দেই না।’[2]

এই হাদীসের অন্য একটি বিস্তারিত বর্ণনায় এই বাক্যটি যুক্ত রয়েছে— ‘মুহাম্মদ এবং মুহাম্মদের পরিবার ব্যতীত।’[3] এর দ্বারা বুঝা যায়, এটি ঋতুমতী নারীদের জন্য কোনো ধর্মীয় বিধান ছিলো না, বরং এটি ছিলো ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি বিষয়।

তাছাড়া, ইতোপূর্বে আমরা এক তরুণী সম্পর্কে আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত একটা হাদীস উল্লেখ করেছিলাম। ওই তরুণী রাসূলের (সা) নিকট এসে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি মসজিদে নববীর ভেতর একটি তাবুতে বাস করতেন।[4] এই হাদীসটি কীভাবে ঋতুমতী নারীদের মসজিদে অবস্থান করার বৈধতা দেয়, ইবনে হাযম তা ব্যাখ্যা করে বলেছেন,

“তিনি ছিলেন মসজিদে বসবাসকারী একজন নারী। নারী হিসেবে তাঁর মাসিক হওয়াটা ছিলো স্বাভাবিক। তা সত্ত্বেও রাসূল (সা) তাঁকে মসজিদে বাস করতে নিষেধ করেননি। আর রাসূল (সা) যদি কোনো কিছু নিষিদ্ধ না করে থাকেন, তাহলে তা বৈধ।”[5]

ঋতুমতী নারী বা জানাবাতের গোসল ফরজ হওয়া পুরুষ কোরআন তেলাওয়াত করতে পারবে না মর্মে কোনো দলীল নেই। ইবনে তাইমিয়ার নিম্নোক্ত কথাগুলো থেকে এই দাবির পক্ষে নিশ্চয়তা পাওয়া যায়:

“এ ব্যাপারে মাত্র একটি হাদীস রয়েছে, যা ইবনে ওমর থেকে নাফি, তাঁর থেকে মুসা ইবনে উকবা, তাঁর থেকে ইসমাঈল ইবনে আয়াশ বর্ণনা করেছেন। তিনি বর্ণনা করেন, ‘ঋতুমতী নারী হোক বা জানাবাতের গোসল ফরজ হওয়া পুরুষ হোক, কারো পক্ষেই কোরআন থেকে কোনো কিছু তেলাওয়াত করা উচিত নয়।’ আবু দাউদ ও অন্যান্য গ্রন্থে উল্লেখিত এই হাদীসটি যে দুর্বল, সে ব্যাপারে হাদীস বিশারদগণের মধ্যে সর্বসম্মত ঐক্যমত্য রয়েছে। হেজাযের বর্ণনাকারীদের নিকট থেকে ইবনে আয়াশ যে হাদীসগুলো বর্ণনা করেছেন, সেগুলো দুর্বল। শাম দেশের বর্ণনাকারীদের সাথে এসব হাদীসের মিল নেই। উপরন্তু, কোনো বিশ্বস্ত স্কলার স্বয়ং নাফি থেকে এই হাদীসটি বর্ণনা করেননি।

সর্বোপরি, এটি সুস্পষ্টভাবে জানা যায় যে রাসূলের (সা) যুগে নারীদের মাসিক হলে তিনি তাদেরকে কোরআন তেলাওয়াত করতে নিষেধ করতেন না, একইভাবে দোয়া-দরুদ পড়তেও নিষেধ করতেন না। বরং, রাসূল (সা) ঋতুমতী নারীদেরকেও ঈদের দিন বের হতে এবং অন্য মুসলিমদের সাথে তাকবীর পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন।

কাবা ঘর তাওয়াফ করা ব্যতীত হজের বাদবাকি সকল কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার নির্দেশও তিনি ঋতুমতী নারীদেরকে দিয়েছেন। এ কারণে তারা মুজদালিফা, মিনা এবং অন্যান্য স্থানগুলোর আনুষ্ঠানিকতায় স্বাভাবিকভাবেই অংশগ্রহণ করতো।”[6]

মজার বিষয় হলো, বর্তমানে ইবনে তাইমিয়ার সালাফী ঘরানার অনুসারীরা এই বিষয়ে স্বয়ং তাঁর মতামতকে পর্যন্ত গ্রহণ করে না। সালাফীদের আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে নারীদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে মক্কার মসজিদুল হারাম এবং মদীনার মসজিদে নববী পরিদর্শন করতে গিয়ে নারীদেরকে বিধিনিষেধের কবলে পড়তে হয়।

প্রত্যেক হজের মওসুমে আরেকটি প্রশ্ন সামনে চলে আসে। সেটি হলো, মাসিক অবস্থায় নারীদের কাবা ঘর তাওয়াফ করার অনুমতি আছে কিনা? এ ব্যাপারে একটি মত হলো, ঋতুমতী নারীকে তার মাসিক শেষ না হওয়া পর্যন্ত মক্কায় অবস্থান করতে হবে। সমস্যা হলো, উপসাগরীয় দেশগুলোর বাসিন্দা না হলে কারো পক্ষে ততদিন মক্কায় অবস্থান করাটা অসম্ভব। অপর একটি মতামত অনুযায়ী, ঋতুমতী নারীদেরকে পরবর্তী কোনো সময় এসে কাবা তাওয়াফ করে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু এটিও অধিকাংশ নারীর পক্ষে অসম্ভব। এ দুটি সমাধান মানতে গেলে তেমন ধরনের সুবিধাসম্পন্ন ভিসা পেতে হবে এবং অন্যান্য ব্যয়বহুল প্রক্রিয়াগুলো মেনটেইন করতে হবে।

এ বিষয়ে ইবনে কায়্যিম তাঁর বিখ্যাত ‘ই’লামুল মুয়াক্কিয়্যীন’ (মুফতীদের জন্য তথ্যাবলি) গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। নিচে এর অংশবিশেষ তুলে ধরা হলো:

“ঋতুস্রাব শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত ঋতুমতী নারীদেরকে কাবা শরীফ তাওয়াফ করতে রাসূল (সা) নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘একজন হাজী যা যা করে, তোমরাও তা তা করো; কেবল কাবা ঘর তাওয়াফ করাটা তোমাদের উচিত হবে না।’ তারপর কিছু লোক মনে করে নিয়েছে, এটি যে কোনো সময় যে কোনো পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য একটি সর্বজনীন নিয়ম। তাদের ধারণায়, ঋতুমতী নারীর সক্ষমতা-অক্ষমতা, মাসিক শেষ হওয়া পর্যন্ত কোনো নারী মক্কায় অবস্থান করতে পারবে কি পারবে না ইত্যাদি বিবেচনা করা যাবে না।

আলেমদের কেউ কেউ হাদীসের আক্ষরিক অর্থের বাইরে যেতে চান না। তাদের মতে, মাসিকের সময় নারীরা নামায-রোযার বিধানের মতো তাওয়াফও করতে পারবে না। নামায, রোযা ও তাওয়াফ— এই তিনটি ইবাদতকে তারা একই রকম বিবেচনা করেন। তাই মাসিকের সময় নামায আদায়ে নিষেধাজ্ঞার মতো তাওয়াফ করাকেও তারা নিষিদ্ধ মনে করেন।

তবে আলেমদের অপর দুটি দল এই মতামতের বিপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। এক দল আলেমের মতে, মাসিকের সময় তাওয়াফ করা জায়েজ এবং তাওয়াফ করার ক্ষেত্রে মাসিক কোনো বাধা নয়। তাদের যুক্তি মতে, তাওয়াফ করার জন্য পবিত্রতা অর্জন শর্ত হলেও একটি পশু কুরবানী করে দিলে মাসিকের রক্তপাত তাওয়াফ নাজায়েজ হওয়ার কারণ হবে না। ইমাম আবু হানীফা ও তাঁর মাযহাবের আলেমগণ এবং ইমাম আহমদ এই মতামত পোষণ করেন।

অন্য একদল আলেম নামাযের শর্তাবলির মতো তাওয়াফের ক্ষেত্রেও পবিত্রতা অর্জন করা দরকার বলে মনে করেন। তবে তাদের মতে, এটি কেবল সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য এবং অক্ষমদের জন্য ছাড় রয়েছে। তাদের আরো যুক্তি হলো, তাওয়াফের জন্য পবিত্রতা অর্জনের বাধ্যবাধকতা নামাযের বাধ্যবাধকতার চেয়ে বেশি হতে পারে না। অথচ নামাযের ক্ষেত্রে অক্ষমতার কারণে পবিত্রতা অর্জনে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাহলে তাওয়াফের ক্ষেত্রে তো আরো বেশি রুখসত পাওয়ার কথা।

সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেছেন, ‘আল্লাহকে ভয় করো, যতটুকু তোমাদের দ্বারা সম্ভব।’ (সূরা তাগাবুন ৬৪:১৬) রাসূল (সা) বলেছেন, ‘যখন আমি তোমাদেরকে কিছু করার আদেশ দেই, তখন তোমাদের পক্ষে যতটুকু পালন করা সম্ভব ততটুকু করো।’ সুতরাং, এই ধরনের পরিস্থিতিতে একজন নারীর পক্ষে অন্যথা করার কোনো সুযোগ নেই, অর্থাৎ মাসিকের সময় হলেও তাওয়াফ সম্পন্ন করা তার জন্য কর্তব্য। সে যদি এ অবস্থায় তাওয়াফ করে, তাহলে এর মাধ্যমে হজের বাধ্যবাধকতাগুলো যথাসম্ভব পূরণ হয়ে যাবে। এ ধরনের অগত্যা পরিস্থিতির সম্মুখীন নারীর জন্য শরীয়তের কোনো বিধিবিধান বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।”[7]

স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে নারীদের কেউ কেউ তাদের মাসিক দেরি করানোর উদ্দেশ্যে হরমোন পিল সেবনের ফতোয়া গ্রহণ করে। এর কোনো প্রয়োজন নেই। মাসিক হলেও তাদের তাওয়াফ করা উচিত। সহজতাকে গ্রহণ করাই হলো যথাযথ পদ্ধতি। এটিই সুন্নাহর সঠিক আন্ডারস্ট্যান্ডিং।

[মূল: জাসের আওদা, অনুবাদ: জোবায়ের আল মাহমুদ]

অন্যান্য পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

রেফারেন্স:

[1] ফিকহুত তাহারাত, ১০০।

[2] ইমাম বুখারী, তারীখুল কবীর, ৭৮৬/১; সুনানে বায়হাকী, ৬২০/২; এবং সুনানে আবু দাউদ, ৬০/১।

[3] মুসনাদে ইসহাক ইবনে রাহাওয়ীহ, ১৭৮৩। এটি হাসান হাদীস হিসেবে স্বীকৃত।

[4] সহীহ বুখারী, ৯৫-৬/১।

[5] আল-মুহাল্লা, ৭৭৬-৭/১।

[6] মাজমুউল ফাতাওয়া, ১৭৯/২৬।

[7] ই’লামুল মুয়াক্কিয়্যীন, ২৫/৩।

এ ধরনের আরো লেখা