কীভাবে বুঝবো কোনো কিছু ‘ইসলামিক’ কিনা?

কীভাবে বুঝবো কোনো কিছু ‘ইসলামিক’ কিনা?

কয়েক বছর আগে আমি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় গিয়েছিলাম। একদল মুসলিম তরুণ একদিন খুব উৎসাহ নিয়ে আমাকে ইতিহাসের প্রথম ‘ইসলামিক মুভি’ দেখার আমন্ত্রণ জানালো। আমি জানতে চাইলাম, ‘ইসলামিক মুভি’ বলতে তারা কী বুঝাচ্ছে? তারা বললো, তাদের শরিয়াহ কমিটি ঠিক করে দিয়েছে সিনেমায় কোনো নারী চরিত্র এবং বাদ্যযন্ত্রসহ গান থাকতে পারবে না। তাই মুভিটিতে নারীর পরিবর্তে পুরুষরাই মাথায় ওড়না পরে নারী চরিত্রে অভিনয় করেছে এবং কোনো বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই গান তৈরি করা হয়েছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, মুভির গল্পটা কী? তারা বললো, এখানে গল্প তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নয়। সহীহ বর্ণনা থেকে প্রাপ্ত সাহাবীদের কথোপকথন নিয়ে মুভিটা বানানো হয়েছে। তখন আমি জানতে চাইলাম, এই মুভির কোনো দর্শক আছে? তারা জানালো, গত এক মাস ধরে এর প্রতিটি প্রদর্শনীর সব টিকেট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এবং শেষ পর্যন্ত তারা আমার জন্যও একটি টিকেটের ব্যবস্থা করতে পারেনি।

আরেকবার আমি গিয়েছিলাম ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে। সমুদ্র সৈকতের পাশে একটি জনপ্রিয় ‘ইসলামী’ হোটেলে আমাকে থাকতে দেওয়া হয়েছিলো। হোটেল রুমে ঢুকে দেখি, কোনো জানালা নেই। শুধু চারটি দেওয়াল ও একটি দরজা! পরে রিসেপশনিস্ট আমাকে জানালো, ডিজাইন করার সময় হোটেলটির মুসলিম মালিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সৈকতের একদম সামনে হওয়া সত্ত্বেও অতিথিদের প্রাইভেসি রক্ষার স্বার্থে পুরো হোটেলে কোনো জানালা না রাখাই ভালো। আমাকে আশ্বস্ত করা হয়েছিলো, এখানকার সকালের নাস্তাও ‘হালাল’। নাস্তা করতে গিয়ে একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার খেয়াল করলাম। নাস্তার আইটেম ছিলো কেবল ফলমূল, ডিম, পাউরুটি, দুধ ও চা। অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, প্রত্যেকটা খাবারে ‘হালাল’ লেবেল আঁটা। ডিম, দুধ, চা ইত্যাদি কীভাবে হালাল না হয়ে পারে, সেটি ভেবে হয়রান হচ্ছিলাম! হ্যাঁ, এই হোটেলটিও যথারীতি অতিথিদের আগমনে কানায় কানায় পূর্ণ ছিলো!

‘ইসলামিক’ ও ‘হালাল’ প্রজেক্টের যে দুটি ‘সফল’ (!) উদাহরণ দিলাম, এগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এই পদ্ধতিতে আজকাল অনেক কিছুকেই ‘ইসলামী’ ও ‘হালাল’ মোড়ক দেওয়া হচ্ছে। কোনো সিনেমায় যদি নারী ও বাদ্যযন্ত্র না থাকে, তাহলেই ‘শরীয়াহ কমিটির’ সদস্যদের মতে সেটি ‘ইসলামী’ চলচ্চিত্র। সিনেমার গল্পটি যতই অপ্রাসঙ্গিক হোক না কেন, তাতে কী আসে যায়! হোটেল রুমে জানালা না থাকলেই বা কী আসে যায়। ডিম ও দুধে ‘হালাল’ কথাটি লেখা থাকলেই তো সেটি ‘ইসলামী’ হোটেল!

নিতান্ত অপ্রসাঙ্গিকভাবে আজকাল অনেক কিছুর উপর ‘ইসলামিক’ লেবেল এঁটে দেওয়া হচ্ছে। দুঃখজনক হলেও এটি ঘটছে। অনেক ‘ইসলামী ব্যাংক’ বৈষম্যপূর্ণ, একচেটিয়া ও বৈশ্বিক পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থারই একটি অংশ মাত্র। তারপরও এগুলোকে ‘ইসলামী’ ব্যাংক বলা হয়, কারণ একটি ‘শরীয়াহ কমিটি’ এদের গায়ে ‘ইসলামী’ লেবেল এঁটে দিয়েছে। কিছু ঐতিহাসিক লেনদেনের সাথে ভাসাভাসা সাদৃশ্য পেলেই এসব কমিটি এমনসব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর ‘হালাল’ সিল মেরে দেয়, যেগুলো হালাল হওয়ার মানদণ্ডে যথাযথভাবে উত্তীর্ণ নয়। ম্যাক্রো-ইকোনোমিক লেভেলে ইসলামের নৈতিক মূল্যবোধ ও দর্শন তথা ইসলামের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিকে তারা বিবেচনায় নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না। এই ফাঁকে আরেকটা কথা বলে রাখি, এসব শরীয়াহ কমিটিতে নারীদের কোনো প্রতিনিধিত্ব থাকে না।

অনেক ‘ইসলামী কসাইখানা’ অন্য আর দশটা সাধারণ কসাইখানার চেয়ে ব্যতিক্রম কিছু নয়। তাদের নামের শুরুতে ‘ইসলামী’ শব্দটা রয়েছে নিছক এ জন্যই যে, প্রাণীগুলো জবাই করার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলার জন্য তারা একজন মুসলমানকে নিয়োগ দেয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তো পশু জবাইয়ের সময় শুধু রেকর্ড করা ‘বিসমিল্লাহ’ উচ্চারণ কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেজে ওঠে। পশু-পাখিদের খাবার-দাবার, পানি পান, কিংবা উপযোগী আবাসস্থলের ব্যাপারে ইসলামের নৈতিক নীতিমালার কোনো কিছুই এখানে মানা হয় না। গত বছর এ ধরনের একটি ‘হালাল কমিটিতে’ যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ আমি ফিরিয়ে দিয়েছি। তাদেরকে বলেছি, নিছক কম্পিউটার জেনারেটেড ‘বিসমিল্লাহ’ উচ্চারণ পশু জবাইকে ‘হালাল’ বা ‘ইসলামী’ করে দিতে পারে না।

একইভাবে, অনেক ‘ইসলামী রাজনৈতিক দল’ রাজনীতিতে অন্যদের মতোই ম্যাকিয়াভেলিয়ান নীতি, বিভেদমূলক ও অনৈতিক উপায় অবলম্বন করে। তারপরও তারা ‘ইসলামী’ লেবেল ব্যবহার করে। অজ্ঞ ভোটারদের কাছে টানার স্বার্থে যে কোনো কিছু করা, কিংবা নির্বাচনে জেতার জন্য রাজনীতিতে আইডেন্টিটি পলিটিক্স করার নিঃশর্ত অনুমোদন ‘শরীয়াহ কমিটি’ তাদেরকে দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ‘ইসলামী দলের’ অগ্রাধিকার তালিকায় যদি জনগণের সামষ্টিক কল্যাণের বিষয়টি না থাকে, যদি তারা নিরাপত্তাহীন, গৃহহীন, ক্ষুধার্ত, গরীব ও অশিক্ষিত মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কোনো ভূমিকা পালন না করে, তাহলে তাদের নামের মধ্যে ‘ইসলামী’ শব্দটা থাকার মানে কী?

যে কোনো বিষয়কে ‘ইসলামী’ দৃষ্টিকোণ থেকে ডিল করার আগে ‘ইসলামী’ বলতে আসলে কী বুঝায়, তা বুঝে নেওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের প্রাথমিক উৎস হলো আল্লাহর বাণী তথা কোরআন এবং দ্বিতীয় মৌলিক উৎস হলো রাসূলের (সা) সুন্নাহ, যিনি ছিলেন কোরআনের জীবন্ত প্রতিবিম্ব। কোনো কিছু ‘ইসলামী’ কিনা, তা বুঝার জন্য এ দুটো উৎসই কেবল প্রকৃত মানদণ্ড।

এখন প্রশ্ন হলো, কোরআন ও সুন্নাহকে আমরা কীভাবে পাঠ করবো? এখানেই উসূলের প্রয়োজনীয়তার প্রশ্ন চলে আসে। কোরআন ও সুন্নাহকে অধ্যয়ন করার সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ না করার ফলে অনেকেই উপরে উল্লেখিত উদাহরণগুলোর মতো কিছু ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছে যায়। যাই হোক, মেথডলজি নিয়ে একটি স্বতন্ত্র ও দীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজন, যা এই বইয়ের সীমিত পরিসরে সম্ভব নয়।[1]

তারপরও প্রসঙ্গ বিবেচনায় কোরআন ও সুন্নাহ অধ্যয়নের তিনটি প্র্রচলিত ভুল পদ্ধতির উপর সংক্ষেপে কিছু বলছি। কোরআন অধ্যয়নের ব্যাপারে স্বয়ং কোরআন যে মানদণ্ড ঠিক করে দিয়েছে এবং রাসূলের (সা) সুন্নাহকে যেভাবে বুঝা দরকার, তার সাথে এই পদ্ধতিগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

১। খণ্ডিত অধ্যয়নের সমস্যা: কোরআনকে ‘খণ্ডিতভাবে’ অধ্যয়ন করা এবং ‘কিছু অংশে বিশ্বাস রাখা, আর কিছু অংশকে অবিশ্বাস করার’ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছেন।[2] কোরআনের কিছু আয়াত বা রাসূলের (সা) কিছু হাদীসকে খণ্ডিতভাবে অধ্যয়ন করা, কিংবা এ সম্পর্কে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণের ফলে কী ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হয়, পরবর্তী অধ্যায়গুলোতে আমরা তা দেখতে পাবো। কোনো বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে অনেকে কেবল দুয়েকটি আয়াত বা হাদীসের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে পৌঁছে যান, একই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আয়াত বা হাদীসগুলোর দিকে তারা নজর দেন না। কিংবা, সংশ্লিষ্ট আয়াত বা হাদীসটির প্রেক্ষাপট বা তৎকালীন পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রাখেন না। নিজেদের সিদ্ধান্তকে ‘ইসলামী’ মনে করলেও তারা যে ধরনের সিদ্ধান্তে পৌঁছান, তা শেষ পর্যন্ত ইসলামী মূলনীতির বিরুদ্ধে চলে যায়।

খণ্ডিত অধ্যয়নের আরেকটি উদাহরণ হলো রাসূলের (সা) সুন্নাহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে কোরআন অধ্যয়ন করা। এ ধরনের লোকদের বিভ্রান্তি হলো— তারা মনে করে, সুন্নাহ হলো ইসলামী জ্ঞানের এমন একটি বিকল্প বা সমান্তরাল উৎস, যেটি কখনো কখনো কোরআনের স্পষ্ট নির্দেশকে অকার্যকর করতে পারে। অথচ কোরআন নিজেই সুন্নাহকে কোরআনের ব্যাখ্যা হিসেবে অভিহিত করেছে। আল্লাহ বলেছেন, “আমি তোমার প্রতি কোরআন নাযিল করেছি, যাতে তুমি তা মানুষের কাছে ব্যাখ্যা করতে পারো, যা তাদের জন্য নাযিল করা হয়েছে। আশা করা যায়, তারা চিন্তাভাবনা করবে।” [সূরা নাহল: ৪৪]

২। ইতিহাসনির্ভর অধ্যয়নের সমস্যা: একটি নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক কালপর্বে ফিকাহর কিতাবগুলোতে কোরআন-সুন্নাহর একটি নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা হয়তো দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে সেটাকেই একমাত্র ব্যাখ্যা হিসেবে বিবেচনা করা হলো ইতিহাসনির্ভর অধ্যয়নের সমস্যা। পরবর্তী অধ্যায়গুলোতে আমরা দেখবো, সমসাময়িক কেউ কেউ কীভাবে ইসলামের প্রকৃত উৎস তথা কোরআন-সুন্নাহর নতুন কোনো ব্যাখ্যা মানতে অস্বীকার করেন, পুরাতন ব্যাখ্যাকে শ্রেষ্ঠ মনে করেন ও সেগুলো আঁকড়ে থাকার ব্যাপারে গোঁ ধরে থাকেন। অথচ  দলীল-প্রমাণ ও স্বাধীন বিচার-বিবেচনা ব্যতীত কাউকে ‘অন্ধ অনুসরণ’ না করতে কোরআন ও হাদীসে অসংখ্য নির্দেশ রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, ‘ইজতিহাদ’ নতুন কোনো পরিভাষা নয়। রাসূল (সা) নিজেই এ পরিভাষাটি ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেছেন, “নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা এই উম্মতের জন্য প্রতি একশ বছরে এমন কিছু মানুষ পাঠাবেন, যারা এই দ্বীনের সংস্কার করবে।”[3]

৩। ইতিহাসবাদী (Historicist) অধ্যয়নের সমস্যা: স্থবিরতা ও অন্ধ অনুকরণের বিরোধিতা করতে গিয়ে কিছু লোক ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর বুঝজ্ঞানের ক্ষেত্রে এক ধরনের ইতিহাসবাদী অবস্থান গ্রহণ করে। ইতিহাসবাদী অবস্থান হলো মহান আল্লাহ তায়ালার বাণী কিংবা হাদীসের কোনো সুনির্দিষ্ট অর্থকে অথরিটি হিসেবে গ্রহণ না করা। অপরাপর মানবীয় সাহিত্য ও কথাবার্তার মতো কোরআন-হাদীস নিছক বিদ্যমান সাংস্কৃতিক পরিবেশের ফসল নয়। এ বিষয়টি তারা বুঝতে পারে না। অথচ কোরআন ও সুন্নাহ হলো সর্বকাল ও স্থানের উপযোগী ঐশী জ্ঞান।

এই গ্রন্থে আমরা কোরআন ও সুন্নাহর একটি উদ্দেশ্যভিত্তিক ও সমন্বিত অধ্যয়ন পদ্ধতি অনুসরণ করেছি। সংশ্লিষ্ট সকল মতামত, প্রেক্ষাপট ও সূত্রগুলোকে সামগ্রিকভাবে পাঠ করেছি। খণ্ডিত অধ্যয়ন থেকে দূরে থেকেছি। আমরা জানি, ‘কেন’ প্রশ্নটির উত্তর খোঁজা হলো যুক্তিবুদ্ধির সর্বোচ্চ স্তর। এর মাধ্যমেই সংশ্লিষ্ট মতবিরোধসমূহের সমাধান এবং বিচ্ছিন্ন দলীলগুলোর সমন্বয় সাধন সম্ভব। আমরা অতীতের ব্যাখ্যার উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকিনি। বরং সেসব মতামতকে পুনর্পাঠ করে বর্তমান প্রেক্ষাপটের আলোকে ব্যাখ্যা করেছি। তারপর সেগুলোকে সমসাময়িক মতামতের সাথে মিলিয়ে তুলনামূলক আলোচনা করেছি। সবশেষে, আমরা দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য দেখিয়েছি। (ক) ইসলামের কিছু বিষয় আছে, যা কখনোই পরিবর্তন হওয়ার নয়। (খ) আবার কিছু বিষয় আছে, যা সময় ও পরিস্থিতির আলোকে পরিবর্তিত হতে পারে এবং হওয়া উচিতও  বটে।

[মূল: ড. জাসের আওদা, অনুবাদ: জোবায়ের আল মাহমুদ]

***

অন্যান্য পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

রেফারেন্স ও নোট:

[1] ইজতিহাদের উপর ইসলামী ফিকাহ শাস্ত্রের বিস্তারিত আলোচনা সম্পর্কে জানতে দেখুন: Jasser Auda, Maqasid al-Shari’ah as Philosophy of Islamic Law: A Systems Approach, International Institute of Islamic Thought, London-Washington, 2008

[2] যেমন, আল্লাহ বলেছেন: “যারা কোরআনকে খণ্ড খণ্ড করেছে। আপনার পালনকর্তার কসম, আমি অবশ্যই ওদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো।” (সূরা হিজর: ৯০-৯১); তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশ বিশ্বাস করো এবং কিছু অংশ অবিশ্বাস করো? যারা এরূপ করে পার্থিব জীবনে দুর্গতি ছাড়া তাদের আর কোনোই পথ নেই। কিয়ামতের দিন তাদেরকে কঠোরতম শাস্তির দিকে পৌঁছে দেওয়া হবে।” (সূরা বাকারা: ৮৫)। কোরআনে এ ধরনের আরো আয়াত রয়েছে।

[3] এটি আবু দাউদে বর্ণিত হয়েছে (হাদীস নং ৪২৯১)। ‘মাকাসিদুল হাসানাহ’ গ্রন্থে (হাদীস নং ১৪৯) আল-শাখায়ী এবং ‌‘সিলসিলাতুস সহীহাহ’ গ্রন্থে (হাদীস নং ৫৯৯) শায়খ আলবানী একে সহীহ হিসেবে প্রত্যয়ন করেছেন।

এ ধরনের আরো লেখা