ইউভাল নোয়া হারারির দৃষ্টিতে মানবজাতির ভবিষ্যৎ

ইউভাল নোয়া হারারি হিব্রু ইউনিভার্সিটি অব জেরুজালেমে ইতিহাস বিভাগের লেকচারার। তাঁর ‘স্যাপিয়েন্স: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব হিউম্যানকাইন্ড’ বইটি বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে দশ মিলিয়ন কপি। সম্প্রতি তিনি লিখেছেন ফলোআপ বই ‘Homo Deus: A Brief History of Tomorrow’। এর ওপরে তিনি ঘণ্টাখানেকের বক্তৃতা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়াতে। এই বক্তৃতার ওপর ভিত্তি করে মূলত এই আলোচনা।

হারারির বক্তব্যের সারসংক্ষেপ:

তাঁর বক্তব্যটি বিবর্তনবাদভিত্তিক বিশ্বদৃষ্টিনির্ভর।

প্রাকৃতিক নির্বাচনের সুবিধাভোগী হিসেবে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।

প্রাকৃতিক নির্বাচন কীভাবে মানুষকে এই সুবিধা দিয়েছে সেটি বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি কয়েকটি আনুষাঙ্গিক হাইপোথিসিসের কথা বলেছেন।

১. গোষ্ঠী চেতনা: ব্যাপকতর পরিসরে পরস্পরের সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার অনন্য ক্ষমতা।

২. কল্পনা: মানুষের রয়েছে অত্যন্ত শক্তিশালী কল্পনা শক্তি; যা অন্য কারো নাই।

মানুষ স্বীয় উর্বর মস্তিষ্ক দিয়ে কিছু ফিকশন বা গল্প নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে ধর্ম, জাতিবোধ, কর্পোরেশন, মানবতা, আইন, দেশ, অর্থব্যবস্থাসহ আছে নন-ফিজিক্যাল সবকিছু।

৩. অথরিটি শিফটিং: এক সময় মানুষ গড, ভিভাইনিটি বা রিলিজিয়নকে অথরিটি মনে করত। এরপর মানুষ মানবতাবাদকে অথরিটি হিসেবে গ্রহণ করেছে। নিজেকে নিজের অথরিটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে মানুষ তৈরি করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তাঁর মতে, এআই-এর অভাবনীয় উন্নতির এক পর্যায়ে মানুষ, মানবিক সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে হোমো স্যাপিয়েন্স হতে হোমো ডিউস-এ পরিণত হবে। বিলুপ্ত হবে আজকের মানবজাতি। যেভাবে অন্যান্য মানব-সদৃশ প্রাণীকে হটিয়ে মানুষ, আজকের মানুষ হয়েছে।

বক্তৃতার শেষ দিকে তিনি নিজেই নিজের পূর্বের বক্তব্যের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়কে খণ্ডন করে বলেছেন, “all these depends on the idea, we are on the process of hacking the human being; and in particular of hacking the human mind and human brain. But we are still very very far understanding the brain, and even further, from understanding the mind.

And, there is a chance, in the end, it will turn out that the organisms aren’t algorithms after all. There are some very deep things, we still don’t understand about the brain and the mind. And, all these dreams will turn out to be a fantasy. So, this is the first thing we need to take into account.

The other important thing to bear in mind is that technology is never deterministic. You can use the same technology in order to create very different kind of societies. This is one of the chief lessons of the twentieth century.”

এরপরে তিনি প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার ও অপব্যবহারের উদাহরণ দিতে গিয়ে কিছু দেশের রাত্রিকালীন স্যাটেলাইট ইমেজ দেখিয়ে সমাজতান্ত্রিক দেশের সাথে মুক্তবাজার অর্থনীতির কিছু দেশের তুলনা করেছেন।

হারারির বক্তৃতায় ব্যবহৃত কিছু মূল-শব্দ ও উদ্ধৃতি:

মানবতাবাদী রাজনীতিতে ভোটাররা, অর্থনীতিতে ক্রেতা গোষ্ঠী, শিল্প-সাহিত্যে ব্যক্তিমানুষের স্বাতন্ত্র্যবোধ, এথিক্সে পরম মানদণ্ডের বিপরীত হিসেবে হিউম্যান ফিলিংস ও শিক্ষাক্ষেত্রে আত্মকেন্দ্রিকতাকে মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ করা।

মানুষের intrinsic free will আছে, এমন ধারণা হলো outdated understanding of human। হারারির মতে, “freedom has absolutely no meaning.” “there is no free will.” deterministic and probabilistic world-view.

হারারির মতে, ভবিষ্যতে ডাটাইজম বা বিগ ডাটা সবকিছুকে ডমিনেইট করবে। আগে মানুষ বই পড়তো, এখন মানুষ বই পড়ার সাথে সাথে বইও মানুষকে পড়তে থাকে। “now books read people.”

অকল্পনীয় পরিমাণে মানসম্পন্ন ডাটা সংগ্রহ ও প্রসেস করার ক্যাপাসিটি অর্জন করার পরিণাম, “if only have enough (open ended class, leading to skepticism) data and enough computing power, we can create external algorithms that understands human and their feelings much better than human can understand themselves.”

এর মাধ্যমে বায়োটেক ও ইনফোটেক একাত্ম হয়ে যাবে। ঘুচে যাবে বায়োলজিক্যাল ও নন-বায়োলজিক্যালের পার্থক্য। “organisms are algorithms.” “feelings are real but just biochemical algorithms. those are not metaphysical entities.”

হারারির বক্তব্যের পর্যালোচনা (কী-পয়েন্টস):

straw-man fallacy: do the religion start with God? villainizing God as a soft-target.

fallacy of freedom without authority.

“beauty lies in the eyes of the beholder” – Chomsky’s universal grammar of language.

when natural selection theory face’s the core philosophical question, ‘why’.

dataism, inter-galactic transportation of human being and the zombie argument of philosophy of mind.

fallacy of philosophy denial: doing philosophy; yet demonizing dissident philosophers.

অবজেক্টিভ স্কেল অব বিউটির কথা বলার জন্য তিনি ফিলোসফারদের সমালোচনা করেছেন। অথচ, ‘অর্গানিজমস আর এলগরিদমস’ বলার মাধ্যমে তিনি আল্টিমেইটলি সাবজেক্টিভিটির intrinsic characteristics-কেও অস্বীকার করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি absurd no-where position-এ নিজেকে আইডেন্টিফাই করেছেন।

Mathe without the Mathe-doer, that means, Mathe without any mathematician.

by differentiating fictions from facts, he is doing ontology while trying to deny various ontological commitments which are inconvenient for him.

confusing necessity with identity, functionality with entity, appearance, expression or behavior with reality.

denying the levels of consciousness in the identity of person-hood.

advocating and arguing for sciencism

AI over-enthusiasm. desperately violating constant gap theory (CGT).

trying to deny the modes of humanly decision-making process. over-emphasizing on the mechanical forms of logical decisions and optimal decisions; while subsiding the mode of satisficing decisions.

qualification problem. quantifying the quality does not prove that quantity is quality.

trying to deny the role of intrinsic intentionality and qualia. qualia is the qualitative aspects of sense experience.

portraying a frustrating and negative picture of humankind. yet giving hope in last minutes of the speech, which is inconsistent with his previous position of AI determinism.

[১৫ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে সমাজ ও সংস্কৃতি অধ্যয়ন কেন্দ্র কর্তৃক আয়োজিত ‘ইউভাল নোয়া হারারির দৃষ্টিতে মানবজাতির ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত।]

সেমিনারের রেকর্ডেড ভিডিও:

এ ধরনের আরো লেখা