বিয়ের ম্যাচুরিটি প্রসঙ্গে
টিনেএজার এবং এডাল্ট যুবকদের বলছি, আমি বিয়ের জন্য ন্যূনতম কোনো বয়সের শর্তে বিশ্বাস করি না। বিয়ের জন্য ন্যূনতম একটা পর্যায়ে পৌঁছতেই হবে (যেমন: গ্র্যাজুয়েট হওয়া, চাকরি পাওয়া ইত্যাদি), এরকম কিছুতেও বিশ্বাস করি না।
তবে আমি বিশ্বাস করি, অবশ্যই একটি সফল বিবাহের জন্য ম্যাচুরিটি অত্যাবশ্যক।
লোকজন বয়স, গ্র্যাজুয়েশেন ও চাকরির প্রতি জোর দেয়। কারণ, বিয়ের বয়স হয়েছে কিনা, তা বুঝার জন্য এসবই সহজ ও বাস্তবসম্মত ক্রাইটেরিয়া বলে মনে করা হয়। কিন্তু বিয়ের ম্যাচুরিটি বুঝার জন্য এসব বিষয় বিবেচনা করা হলো ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতি। অনেক সফল, অনেক শিক্ষিত, সম্পদশালী ত্রিশ, চল্লিশ, এমনকি পঞ্চাশ বছর বয়সী মানুষও আছে, যাদের আবেগ-অনুভূতির লেভেল একটা পাঁচ বছরের বাচ্চার মতো।
কিন্তু নিজের ও অন্যের ম্যাচুরিটিকে মূল্যায়ন করার এরচেয়ে ভালো উপায় আছে। আশেপাশের সম্পর্কগুলোর দিকে খেয়াল করে দেখুন।
বিয়ের কাজে হাত দেওয়ার আগে তিনটি সম্পর্ককে নিশ্চিত করুন। খুব ভালোভাবে এগুলো কাজে লাগাতে হবে:
১। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক।
২। পিতামাতার সাথে সম্পর্ক।
৩। ভাইবোন, পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক।
এই তিন প্রকার সম্পর্ক যদি আপনি ঠিকঠাক মতো পালন করতে না পারেন, তাহলে আপনার বিয়েশাদির ব্যাপারটি ব্যতিক্রম কিছু বলে আশা করবেন না।
”আমার মা-বাবা, পরিবার ইত্যাদি ডিফিকাল্ট টাইপের মানুষ”- এসব অজুহাত দেখিয়ে তেমন কোনো লাভ নাই।
ডিফিকাল্ট টাইপের মানুষজনকে ম্যানেজ করতে পারা, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করতে জানা হচ্ছে ম্যাচুরিটির সবচেয়ে স্পষ্ট চিহ্ন। একটি সফল বিবাহের জন্য এ ধরনের ম্যাচুরিটি আর অপরিহার্য দক্ষতা থাকা প্রয়োজন।
শেষকথা হলো, নিজের জন্য কাজ করা।
আল্লাহ যেন আমাদের মুমিনদের জন্য উত্তম ও পরহেজগার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী পাওয়া সহজ করে দেন।
[এটি দানিয়েল হাকিকাতজু এর একটি ফেসবুক পোস্টের অনুবাদ।]
বিয়ে সহজ হওয়ার পাশাপাশি বিবাহবিচ্ছেদ ও সহজ হওয়া বাঞ্চনীয়। ইসলামে বিয়ে যত সহজ বিবাহবিচ্ছেদ তত সহজ না বিশেষ করে নারীদের জন্য। এটা ইনহেরেন্ট কনট্রাডিকশন যা নিয়ে কেউ তেমন কথা বলে না।