'রিক্লেইমিং দ্যা মস্ক' বইয়ের ধারাবাহিক অনুবাদ: পর্ব-৩

মসজিদ ও নারী প্রসঙ্গে কোরআনের বক্তব্য কী?

আল-কোরআনে মসজিদ সম্পর্কিত কয়েক ডজন আয়াত আছে। সব আয়াতেই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ঈমানদারদেরকে নিয়মিত মসজিদে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে কিছু আয়াত তুলে ধরা হলো:

قُلْ أَمَرَ رَبِّي بِالْقِسْطِ ۖ وَأَقِيمُوا وُجُوهَكُمْ عِندَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَادْعُوهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ

“(হে মোহাম্মদ!) আপনি বলে দিন, ‘আমার প্রতিপালক ন্যায়বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন। তোমরা প্রতিটি মসজিদে নিবিষ্ট মনে ইবাদত করবে এবং তাঁর দ্বীনের প্রতি একনিষ্ঠ হয়ে তাঁকে ডাকবে’।” (সূরা আরাফ: ২৯)

يَا بَنِي آدَمَ خُذُوا زِينَتَكُمْ عِندَ كُلِّ مَسْجِدٍ

“হে বনী আদম! তোমরা প্রত্যেক (নামাযের সময়) মসজিদে (যাওয়ার আগে) সাজসজ্জা করে নাও।” (সূরা আরাফ: ৩১)

إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللَّـهِ مَنْ آمَنَ بِاللَّـهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلَّا اللَّـهَ ۖ فَعَسَىٰ أُولَـٰئِكَ أَن يَكُونُوا مِنَ الْمُهْتَدِينَ

“আল্লাহর ঘর মসজিদ তো তারাই আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও পরকালের উপর ঈমান আনে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, আর আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, এরা হেদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সূরা তওবা: ১৮)

وَأَنَّ الْمَسَاجِدَ لِلَّـهِ فَلَا تَدْعُوا مَعَ اللَّـهِ أَحَدًا

“মসজিদসমূহ আল্লাহকে স্মরণ করার জন্য। অতএব, তোমরা আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে ডেকো না।” (সূরা জ্বিন: ১৮)

এছাড়াও মক্কায় অবস্থিত মসজিদে হারামের কথা আল্লাহ তায়ালা কোরআনের অনেক আয়াতে বলেছেন। একে ‘আল্লাহর ঘর’ ও ‘পবিত্র ঘর’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে তাঁর ঘরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। জেরুসালেমে অবস্থিত বাইতুল আকসাকেও আল্লাহ তায়ালা ‘পবিত্র মসজিদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। নিচে এ সম্পর্কিত কিছু আয়াত তুলে ধরা হলো:

وَإِذْ بَوَّأْنَا لِإِبْرَاهِيمَ مَكَانَ الْبَيْتِ أَن لَّا تُشْرِكْ بِي شَيْئًا وَطَهِّرْ بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْقَائِمِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ

“স্মরণ করো, যখন আমি ইব্রাহীমকে পবিত্র ঘরের স্থান ঠিক করে দিয়েছিলাম। এবং বলেছিলাম, আমার সাথে কাউকে শরীক করো না; তাওয়াফকারীদের জন্য, নামাযে দণ্ডায়মানদের জন্য এবং রুকু-সেজদাকারীদের জন্য আমার গৃহকে পবিত্র রাখো।” (সূরা হজ: ২৬)

سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَىٰ بِعَبْدِهِ لَيْلًا مِّنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى

“তিনি পরম পবিত্র সত্তা, যিনি তাঁর স্বীয় বান্দাকে রাত্রিবেলায় মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছিলেন।” (সূরা বনী ইসরাইল: ১)

جَعَلَ اللَّهُ الْكَعْبَةَ الْبَيْتَ الْحَرَامَ قِيَامًا لِّلنَّاسِ

“পবিত্র ঘর কাবাকে আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির জন্য আশ্রয়স্থল বানিয়েছেন।” (সূরা মায়েদা: ৯৭)

إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِّلْعَالَمِينَ

“মক্কায় অবস্থিত ঘরটিই ইবাদতের উদ্দেশ্যে মানবজাতির জন্য সর্বপ্রথম তৈরি করা হয়েছিলো। এটি সমগ্র বিশ্বের জন্য বরকতময় ও সত্যের দিশারী।” (সূরা আলে ইমরান: ৯৬)

অন্যদিকে, কোরআনের দুটি আয়াতে ঈমানদারদেরকে মসজিদে আসার আহ্বান জানিয়ে ‘রিজাল’ শব্দটি দ্বারা সম্বোধন করা হয়েছে:

فِي بُيُوتٍ أَذِنَ اللَّهُ أَن تُرْفَعَ وَيُذْكَرَ فِيهَا اسْمُهُ يُسَبِّحُ لَهُ فِيهَا بِالْغُدُوِّ وَالْآصَالِ — رِجَالٌ لَّا تُلْهِيهِمْ تِجَارَةٌ وَلَا بَيْعٌ عَن ذِكْرِ اللَّهِ وَإِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ

“আল্লাহ যেসব মসজিদকে সমুন্নত করতে এবং সেগুলোতে তাঁর নাম স্মরণ করার আদেশ দিয়েছেন, সেসব ঘরে সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে এমন ব্যক্তিরা (রিজাল), যাদেরকে আল্লাহর স্মরণ, নামায কায়েম ও যাকাত আদায় করা থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য বা ক্রয়-বিক্রয়ের কর্মযজ্ঞ বিরত রাখতে পারে না।” (সূরা নূর: ৩৬-৩৭)

لَّمَسْجِدٌ أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَىٰ مِنْ أَوَّلِ يَوْمٍ أَحَقُّ أَن تَقُومَ فِيهِ ۚ فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَن يَتَطَهَّرُوا ۚ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ

“যে মসজিদের ভিত্তি প্রথম দিন থেকেই তাকওয়ার উপর স্থাপিত, (নামাযের জন্য) সেখানে দাঁড়ানোই তোমার জন্য অধিক উপযোগী। সেখানে এমনসব ব্যক্তি (রিজাল) রয়েছে, যারা পবিত্র থাকতে ভালোবাসে। আর যারা পবিত্র থাকে, আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন।” (সূরা তওবা: ১০৮)

কোনো কোনো অনুবাদক বা মুফাসসির আরবী ‘রিজাল’ শব্দটির ব্যাপারে ভুল বুঝেছেন। তারা এর অর্থ করেছেন ‘পুরুষ’ (men)। ফলে নারীরা এখানে বাদ পড়েছে। আমি এর অর্থ করেছি ‘ব্যক্তি’ (person)। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, ইংরেজি ভাষায় আমি কোরআনের যতগুলো অনুবাদ দেখেছি, সবগুলোতে ‘রিজাল’ শব্দের অর্থ ‘পুরুষ’ ধরে নেওয়া হয়েছে। শুধু মোহাম্মদ সরওয়ারের অনুবাদটা ব্যতিক্রম। তিনি ‘রিজাল’ শব্দের অর্থ করেছেন ‘ব্যক্তি’। ‘রিজাল’ শব্দটির এই প্রচলিত, অথচ ভুল অনুবাদ বা ব্যাখ্যার কারণে মুসলমানদের চিন্তায় সামগ্রিকভাবে এর একটি নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মুসলমানরা এখন মনে করে, মসজিদে নারীদের প্রবেশাধিকার কোরআন দ্বারা সমর্থিত নয়।

উপরে উল্লেখিত সূরা নূরের আয়াতটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ‘রিজাল’ শব্দটির ব্যাখ্যায় প্রসিদ্ধ মুফাসসির ইবনে কাসীর (মৃত্যু ৭৭৪ হি./১৩৭৩ খ্রি.) বলেছেন,

“বাড়িতে নামায আদায় করাই নারীদের জন্য উত্তম। … তবে পুরুষদের নামাযের জামায়াতে নারীদেরও অংশগ্রহণের অনুমোদন রয়েছে। এক্ষেত্রে শর্ত হলো, সাজসজ্জার প্রদর্শন ও পারফিউম ব্যবহারের মাধ্যমে নারীরা কোনো পুরুষের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে না।[1]

এটি ঠিক, কথ্য আরবীতে ‘রিজাল’ শব্দটি দ্বারা পুরুষকে বুঝানো হয়। কিন্তু কোরআনের মতো উচ্চমার্গীয় আরবীতে ‘রিজাল’ শব্দটি দ্বারা নারী-পুরুষ উভয়কে বোঝানো হয়েছে। এর প্রমাণ কোরআনেরই অনেক আয়াতে রয়েছে। যেমন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,

وَنَادَىٰ أَصْحَابُ الْأَعْرَافِ رِجَالًا يَعْرِفُونَهُم بِسِيمَاهُمْ قَالُوا مَا أَغْنَىٰ عَنكُمْ جَمْعُكُمْ وَمَا كُنتُمْ تَسْتَكْبِرُونَ

“আরাফবাসীরা যেসব জাহান্নামী ব্যক্তিকে (রিজাল) তাদের লক্ষণ দ্বারা চিনতে পারবে তাদেরকে ডেকে বলবে, তোমাদের দলবল ও গর্ব-অহংকার তোমাদের কোনো কাজে আসলো না।” (সূরা আরাফ: ৪৮)

مِّنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ

“মুমিনদের মধ্যে কিছু ব্যক্তি (রিজাল) আল্লাহর সাথে করা ওয়াদা পূর্ণ করেছে।” (সূরা আহযাব: ২৩)

এই দুটি আয়াতসহ কোরআনের অন্যান্য আয়াতে ‘রিজাল’ শব্দটি দ্বারা স্পষ্টত নারী-পুরুষ উভয়কেই বুঝানো হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো স্কলারই কখনো ভিন্নমত পোষণ করেননি।

এছাড়া ভাষাতাত্ত্বিক দিক থেকে কথা হলো, কোরআনের যে আয়াতে ‘রিজাল’ শব্দটি দ্বারা শুধু পুরুষদেরকে বুঝানো হয়, সেই একই আয়াতে ‘নিসা’ (নারী) শব্দটিও ব্যবহার করা হয়। কেবল এ ধরনের আয়াতেই ‘রিজাল’ দ্বারা শুধু পুরুষকে বুঝানো হয়। যেমন, আল্লাহ বলেছেন:

وَلَوْلَا رِجَالٌ مُّؤْمِنُونَ وَنِسَاءٌ مُّؤْمِنَاتٌ لَّمْ تَعْلَمُوهُمْ

“যদি (মক্কায়) কিছুসংখ্যক ঈমানদার পুরুষ (রিজাল) ও ঈমানদার নারী (নিসা) না থাকতো, যাদের ব্যাপারে তোমরা জানো না…” (সূরা ফাতাহ: ২৫)

আরবী ভাষায় খুব ভালো দক্ষতা না থাকলে সঠিকভাবে কোরআন বুঝা অসম্ভব। আর কোরআন নিজেই হলো আরবী ভাষার জন্য সবচেয়ে ভালো রেফারেন্স। তাই আরবী পরিভাষাগুলোর প্রচলিত অর্থকে কোরআনের অর্থ অনুযায়ী পরিবর্তন করে নেওয়া উচিত।

কোরআনের দলীল-প্রমাণের বাইরে আরবী অভিধানগুলোও ‘রিজাল’ শব্দ দ্বারা নারীকে বোঝানো সমর্থন করে। উদাহরণ হিসেবে ক্লাসিক আরবী–আরবী অভিধান ‘মুখতারুস সিহাহ’[2] গ্রন্থের কথা বলা যায়। এই অভিধানে رجل (এটি রিজাল পরিভাষাটির শব্দমূল) শব্দের এন্ট্রিতে বলা হয়েছে,

‘নিসওয়াতুন রিজাল’ (এখানে রিজাল শব্দটি নারীদের বিশেষণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে) … এবং একজন নারীকে ‘রাজুলাহ’ (এটি রিজাল শব্দের একবচন ও নারীবাচক শব্দ) বলা যেতে পারে। … এছাড়া আয়েশা (রা) তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ‘রাজুলাহ’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন বলে বর্ণিত আছে।

আরেকটি ক্লাসিক আরবী–আরবী অভিধান ‘লিসানুল আরবে’ এই বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে,

আবু জায়েদ আল কিলাবী ও তাঁর স্ত্রী সম্পর্কে বলা হয়েছে, দুইজন ‘রিজাল’ তর্ক করছে। এখানে ‘রিজাল’ দ্বারা তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে বুঝানো হয়েছে।[3]

সর্বশেষ কথা হলো, কাউকে মসজিদে আসতে বাধা দেওয়ার ব্যাপারে কোরআন সুস্পষ্টভাবে নিষেধ করে দিয়েছে। আল্লাহ বলেছেন,

وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّن مَّنَعَ مَسَاجِدَ اللَّهِ أَن يُذْكَرَ فِيهَا اسْمُهُ وَسَعَىٰ فِي خَرَابِهَا ۚ أُولَٰئِكَ مَا كَانَ لَهُمْ أَن يَدْخُلُوهَا إِلَّا خَائِفِينَ ۚ لَهُمْ فِي الدُّنْيَا خِزْيٌ وَلَهُمْ فِي الْآخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ

তারচেয়ে বড় জালেম আর কে আছে, যে ব্যক্তি আল্লাহর (ঘর) মসজিদে তাঁর নাম স্মরণ করতে বাধা দেয় এবং তা ধ্বংস করার চেষ্টা করে? এ ধরনের লোকদের তো তাতে প্রবেশ করাই সমীচীন নয়, তবে একান্ত ভীত সন্ত্রস্তভাবে (ঢুকলে তা ভিন্ন কথা)। তাদের জন্য পৃথিবীতে যেমন রয়েছে লাঞ্ছনা, তেমনি পরকালে রয়েছে কঠিনতম শাস্তি। (সূরা বাকারা: ১১৪)

তারপরও ব্যতিক্রম বাদে প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী তথা নারীরা আল্লাহর নাম নেওয়ার জন্য মসজিদে যেতে পারছে না। পরবর্তী অধ্যায়গুলোতে এ সংক্রান্ত অন্যান্য দিক নিয়ে আলোচনা করবো।

[মূল: ড. জাসের আওদা, অনুবাদ: জোবায়ের আল মাহমুদ]

***

অন্যান্য পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

রেফারেন্স ও নোট:

[1] তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৬/৬৭।

[2] মোহাম্মদ আল-রাজী, মুখতারুস সিহাহ (শুদ্ধ শব্দ সংকলন), মাকতুবাতুল আশরিয়্যাহ, বৈরুত, ১৯৯৯/১১৯।

[3] আবুল ফজল ইবনে মনজুর, লিসানুল আরব, (আরবদের ভাষা), দার সাদির, বৈরুত, ২০০৩/১১২।

জাসের আওদা
জাসের আওদাhttp://www.jasserauda.net
মাকাসিদে শরীয়াহর উপর একজন শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ। ‘মাকাসিদ ইনস্টিটিউট গ্লোবাল’ নামক একটি থিংকট্যাংকের প্রেসিডেন্ট। ফিকহ কাউন্সিল অব নর্থ আমেরিকা, দ্য ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর ফতওয়া এবং ফিকহ একাডেমি অব ইন্ডিয়ার সদস্য। পড়াশোনা করেছেন আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলস এবং কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলু থেকে ইসলামী আইন ও সিস্টেম অ্যানালাইসিসের উপর দুটি পিএইচডি করেছেন। বিভিন্ন দেশের বেশ কটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। আরবী ও ইংরেজিতে প্রায় ২৫টি বইয়ের লেখক।

সাম্প্রতিক

এ ধরনের আরো নিবন্ধ